খনর৭১ঃ ২০১৭ সালে শাহরুখ খানের হাত ধরে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল পাকিস্তানি মডেল ও অভিনেত্রী মাহিরা খানের। কাজ করেছিলেন বাদশাহর ‘রইস’ ছবিতে। সেখানে দারুণ প্রশংসিত হয়েছিল মাহিরার অভিনয়। তা সত্ত্বেও গত চার বছর আর কোনো বলিউড ছবিতে দেখা যায়নি এই পাক সুন্দরীকে।
কিন্তু কেন? এর কারণ কম-বেশি সবারই জানা। সেটি হলো ভারত-পাকিস্তানের মধ্যকার উত্তেজনা। ২০১৬ সালে উরি হামলা এবং ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার সূত্র ধরে প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে এই উত্তেজনা তৈরি হয়। যার জেরে মাহিরা খানসহ সকল পাকিস্তানি শিল্পীদের বলিউডে কাজ করার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।
তবে সম্প্রতি ভারতের এক সংবাদ মাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকার বলিউডে কাজ না করার আরও একটি কারণের কথা জানালেন মাহিরা খান। তিনি জানান, নিষেধাজ্ঞার পরেও একাধিক সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি। ওটিটি প্ল্যাটফরর্মের জন্য ডাকা হয়েছিল তাকে। চিত্রনাট্যও পছন্দ হয়েছিল তার। ইচ্ছাও ছিল ষোল আনা। কিন্তু মনে ভয় কাজ করছিল মাহিরার। তাই সেসব সুযোগ ফিরিয়ে দেন।
সাক্ষাৎকারে মাহিরা এও জানান, আবারও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। সুযোগ পেলে আবারও বলিউডে কাজ করতে চান তিনি। অভিনেত্রীর কথায়, ‘এখন আমি অনেকটা সাহস অর্জন করেছি। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, শুধু রাজনৈতিক কারণে আমার ইচ্ছাগুলোকে চেপে রাখব না। আশা করি, আবার সকলে হাত মেলাব। সে অন্য মাধ্যম হোক বা ডিজিটাল।’
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর ‘অল ইন্ডিয়ান সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’- ঘোষণা দেয়, পাকিস্তানি কোনো শিল্পী বলিউডে কাজ করতে পারবে না। যার জেরে মাহিরার পাশাপাশি অভিনেতা ফাহাদ খান, আলি জাফর এবং তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী আতিফ আসলামও বলিউডে আর কোনো কাজের সুযোগ পাননি।