সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক স্কুল ছাত্রীকে উপহার দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে থানায় একটি মামলা হয়েছে। যৌন নিপীড়নের শিকার স্কুল ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে গতকাল রোববার সৈয়দপুর থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন। শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার ডাকবাংলো সংলগ্ন অফিসার্স কলোনী এলাকায় এ ঘটনায় যৌন নিপীড়ক মো. ফিরোজ আহমেদ রুবেলকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মামলার আর্জি সূত্রে জানা গেছে, শহরের বাঙ্গালীপুর নিজপাড়ার ডাকবাংলো সংলগ্ন অফিসার্স কলোনী এলাকার ওই স্কুল ছাত্রী (১৫)। ঘটনার দিন গত রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সে তাদের বাড়ির সামনে প্রতিবেশি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে খেলাধূলা করছিল। এ সময় ওই স্কুল ছাত্রীকে উপহার দেওয়ার কথা বলে একই এলাকার মৃত. মফিল উদ্দিনের ছেলে ফিরোজ আহমেদ রুবেল (৩২) তার নিজ বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর রুবেল তার যৌন কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে স্কুল ছাত্রীর শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয় এবং জড়িয়ে ধরে। এ সময় লম্পট রুবেলের এমন কর্মকান্ডে ওই স্কুল ছাত্রী আর্তচিৎকার করলে সে (রুবেল) তাকে ছেড়ে দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্কুল ছাত্রী তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘটনাটি প্রথমে তাঁর বড় বোনকে বলে। এরপর ঘটনাটি স্কুল ছাত্রী বাবা সাহিদ তাঁর স্ত্রী ও বড় মেয়ের কাছে শুনে রুবেলকে তাদের বাড়ি সামনে পেয়ে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এতে সে (রুবেল) ওই স্কুল ছাত্রীর বাবার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এরপর সেখানে উপস্থিত এলাকার লোকজন রুবেলকে ধরে মারপিট করতে থাকেন। এতে সে শরীরে ফুলা ও জখমপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে রুবেলকে উদ্ধার করে স্থানীয় ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতলে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রী বাবা মো. সাহিদ গতকাল রোববার ফিরোজ আহমেদ রুবেলকে আসামী করে সৈয়দপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধনী (০৩) এর ১০ ধারায় ওই মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১১,তারিখ: ১৬/০৫/২০২১ইং।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল হাসনাত খান স্কুল ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, গতকাল রোরবার মামলার আসামী ফিরোজ আহমেদ রুবেলকে আদালতের মাধ্যমে নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া যৌন নিপীড়নের শিকার ওই স্কুল ছাত্রী আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
।