বাংলাবাজার ফেরিঘাটে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ

0
341

খবর৭১ঃ করোনার ঝুঁকি নিয়েই মাদারীপুরের বাংলাবাজার ও মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া নৌরুট দিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। ছোট-বড় ১৮টি ফেরি আছে। রবিবার সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় এখন পর্যন্ত ১৫টি ফেরি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়লে প্রয়োজনে সবকটি ফেরি চালানো হবে।

রবিবার (১৬ মে) সকাল থেকে ঘাটে রয়েছে যাত্রী ও যানবাহনের ভিড়। তবে দূরপাল্লার যানবাহন না থাকায় ঘাটে পৌঁছাতে ও ফেরি পার হয়ে কর্মস্থলে যেতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। অভ্যন্তরীণ গণপরিবহন, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে ভেঙে ভেঙে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ফিরছেন তারা।

বিআইডব্লিউটিসি ঘাট সূত্র জানায়, ঈদের দুদিন আগে বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌপথে দুটি ফেরিতে যাত্রীদের প্রচণ্ড চাপ, গরম ও হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এরপর এ নৌপথে বর্তমানে ১৮টির মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ১৫টি চালু রাখা হয়। আজ ভোর থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকায় যানবাহনের তুলনায় যাত্রীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পারাপার করা হচ্ছে। ঘাট নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের বহরে ১৮টি ফেরি আছে। সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বাড়তে থাকায় এখন পর্যন্ত ১৫টি চলাচল করছে। যাত্রী ও যানবাহনের চাপ আরও বাড়লে প্রয়োজনে সবকটি ফেরি চালানো হবে।’

গোপালগঞ্জ থেকে আসা ঢাকামুখী যাত্রী ইমন হোসেন বলেন, ‘সোমবার থেকে কারখানা খোলা। ঢাকায় আজকের মধ্যে পৌঁছাতে হবে। তাই পরিবারের সঙ্গে ঈদ কাটিয়ে এখন আবার কামে ফিরতাছি।’

বাংলাবাজার ঘাটের ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. আশিকুর রহমান বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষে যাত্রীরা কর্মস্থলে যোগ দিতে ঢাকামুখী হচ্ছেন। সকাল থেকে ঢাকামুখী যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ফেরিতে যানবাহনের তুলনায় যাত্রীই বেশি। ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন উপজেলার প্রশাসন, পুলিশ, আনসার ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ঘাটের সংযোগ সড়কে যে ছোটগাড়িগুলো আছে, এগুলো বেশিরভাগই ব্যক্তিগত। ফেরিঘাটে আসামাত্রই গাড়িগুলো আমরা ফেরিতে তুলে দিচ্ছি।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here