খবর৭১ঃ ভারতের উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে নদীতে গত কয়েক দিন অসংখ্য লাশ ভাসতে দেখা গেছে। দেশটিতে করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণকারীদের লাশ বলে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, উত্তরপ্রদেশের ২৭ জেলায় গঙ্গার তীরে কবর দেওয়া হয়েছে অসংখ্য লাশ। গঙ্গার ১ হাজার ১৪০ কিলোমিটার যাত্রাপথে নদীর তীরে ২ হাজারের বেশি লাশ ভাসিয়ে দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, উত্তরপ্রদেশের বিজনৌর, মীরাট, মুজাফ্ফরনগর, বুলন্দশহর, হাপুর, আলিগড়, বদায়ুঁ, শাহজাহানপুর, কনৌজ, কানপুর, উন্নাও, রায়েরবেরেলী, ফতেহপুর, প্রয়াগরাজ, প্রতাপগর, মির্জাপুর, বারাণসী, গাজিপুর, বালিয়া প্রভৃতি জেলায় এই দৃশ্য দেখা গেছে। এর মধ্যে কানপুর, কনৌজ, উন্নাও, গাজিপুর ও বালিয়ার পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ।
কনৌজের মহাদেবী গঙ্গাঘাটের কাছে সাড়ে তিন শতাধিক লাশ পুঁতে ফেলা হয়েছে।
ঘাটে কর্মরত রাজনারায়ণ পাণ্ডে নামের এক ব্যক্তি বলেছেন, ‘লাশগুলো মাটি চাপা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু গঙ্গার পানির স্তর বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মাটি সরে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময় মৃতদেহ নদীতে ভেসে যাচ্ছে।’
কানপুরের শেরেশ্বর ঘাটের কাছেও একই ছবি চোখে পড়ছে। যে দিকে চোখ পড়ছে সে দিকেই লাশ আর লাশ।
স্থানীয়রা বলছেন, চার শতাধিক মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে সেখানে। মাটি সরে গিয়ে কিছু লাশ বেরিয়ে পড়ছে। এছাড়া চিল, শকুনও ভিড় করছে। এসব লাশ থেকে সংক্রমণ ও দূষণ ছড়াতে পরে বলে আশঙ্কা করছেন দেশটির পরিবেশবিদরা।
তবে উন্নাওয়ের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন। এই এলাকার দু’টি ঘাটের (শুক্লাগঞ্জ ও বক্সার) কাছে ৯০০-র বেশি মৃতদেহ কবর দেওয়া হয়েছে। অনেক লাশ টেনে বের করে নিয়ে যাচ্ছে শেয়াল, কুকুর।