খবর৭১ঃ ঈদ মানেই খুশি, আনন্দ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে যদিও বাইরে বের হওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। তারপরও ঘরে থেকেও সাজতে পারেন মতো। ছবি তুলতে পারেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পারেন। তবে ঈদের আনন্দ ঘরে করুন বা সীমিত আকারে বাইরে করুন তার জন্য চাই সঠিক পরিকল্পনা এবং মানানসই সাজের। সাজসজ্জার ক্ষেত্রে- বয়স, চেহারার গড়ন বিবেচনা করে পোশাক নির্বাচন করা উচিত।
মেয়েদের সাজ
ঈদের সকালটা বেশ কর্মব্যস্ত কাটে। রান্নাঘরের কাজ, মেহমান আপ্যায়নে ব্যস্ত সময় পার করতে হয়। তার ওপর গরম তো আছেই। তাই বলে তো আর ঈদের সকালে না সেজে পারা যায় না। তবে ঈদের সকালের সাজটা হওয়া চাই একদম হালকা।
ঈদের দিন নিজেকে সুন্দর ও আকর্ষণীয় করে তুলতে আগেই কিছু কাজ করে রাখা দরকার। ফেসিয়াল, চুলে নতুন কাট, মেনিকিউর, পেডিকিউর, ভ্রু প্লাক, হেয়ার ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। এতে সৌন্দর্যটা ফুটে ওঠে খুব সুন্দরভাবে। মসৃণ ত্বকে যত্নের প্রয়োজন হয় না এমন ভাবার কোনো কারণ নেই। সৌন্দর্যের যত্ন না নিলে অকালেই তা ঝরে যায়। ঈদের সময় এমনিতেই ব্যস্ত সময় কাটে, তার মধ্যেও নিজেকে গুছিয়ে রাখুন। সাজান স্নিগ্ধ, সুন্দর করে।
ঈদের সকালে সুতি পোশাকই সবচাইতে আরামদায়ক হবে। পাতলা সুতি পোশাকের সাথে সুতি ওড়নাতেই বেশ আরামে কাটবে সকাল। তাই সুতি পোশাক বেছে নিন ঈদের সকালের জন্য।
সকালে চুল বেঁধে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। চুলগুলোকে উঁচু করে ডোনাট বান করে রাখতে পারেন। আবার মাঝারি দৈর্ঘ্যের চুল হলে পনি টেল করে রাখলেও দারুণ স্মার্ট দেখাবে। সকালে ত্বকে ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভালো। শুধু ফেস পাউডার দিয়েই বেজ মেকআপ করে নিন। মুখে অতিরিক্ত দাগ থাকলে কনসিলার ব্যবহার করতে পারেন শুধু। কনট্যুরিং এর ক্ষেত্রেও পাউডার কনট্যুরিং কিট বেছে নিন। চোখে পাউডার আইশ্যাডোর ব্রাউন শেড ব্যবহার করতে পারেন। চোখের কোলে হালকা কাজল এবং চোখের উপরে চিকন করে আইলাইনারের রেখা একে দিন। আর মাশকারার কথা ভুলে গেলেও চলবে না।
যেহেতু দিনের প্রথম মেকাপ, তাই শুরুতেই ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর টোনার ও ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে স্কিন টোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন দিয়ে পাউডার ভালভাবে লাগিয়ে নিন। চোখ যেভাবেই সাজান না কেন সূক্ষ্ম ফিনিশিং হওয়া জরুরী, আপনার পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করুন লাইনার। বিভিন্ন রঙের আই পেন্সিল ব্যবহার করতে পারেন তাতে নিজেকে অন্যদের চেয়ে আলাদা মনে হবে। লিপস্টিক একটু কালারফুল হতে পারে। ব্রাইট হলেও যেন তা আবার ডার্ক না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখা দরকার। চোখে একটু ভারি কাজল বা আইলাইনার ব্যবহার করতে পারে। ভারি করে মাশকারা লাগালেও ভাল লাগবে।
বিকেলে শাড়ি পরতে পারেন। সঙ্গে ম্যাচিং গয়না পরলে খুব সিম্পল একটা লুক আসবে। চাইলে চুলে সুন্দর খোঁপা করতে পারেন। পোশাকের রং আর ধাঁচের সঙ্গে মিল রেখে জুতা নির্বাচন করুন, এক্ষেত্রে আপনার পায়ের আরামকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিন।
ছেলেদের সাজ
তরুণরা সুতির পাঞ্জাবি-পায়জামা এবং স্লিপার পরে ঈদের নামাজ আদায় করতে পারেন। এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে ঈদের দিন রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা সুতরাং এক কালারের পাঞ্জাবি কিংবা সাদা পাঞ্জাবি না পরা ভাল। নামাজ শেষে পছন্দের পোশাক পরিধান করতে পারেন।
সন্ধ্যার জন্য হাল্কা পোশাক যেমন টিশার্ট-প্যান্টই তার পছন্দ। বিকেলে ক্যাজুয়াল শার্ট এবং কালারফুল গেবার্ডিং প্যান্ট পরতে পারেন, এর সঙ্গে দুই ফিতার চটি কিংবা স্নিকার্স পরতে পারেন। লুকে বৈচিত্র্য আনতে চুলে জেল দিয়ে ইচ্ছেমতোন স্টাইল দিতে পারেন।
শিশু সাজবে রঙিন পোশাকে
শিশুরা মানেই আনন্দ, উচ্ছলতায় ভরপুর। রঙিন পোশাকে তারা উৎসবে মেতে ওঠে রঙিন প্রজাপতি। আর ঈদের দিন সকালেই সেজে আনন্দ পায় তারা। আপনার পছন্দের পোশাক নয়, ঈদের সকালটা কাটুক ছোট্ট সোনামণির নিজের পছন্দের পোশাকে। এতে ওর আনন্দ হবে বেশি।
মেয়ে শিশু হলে চুল আঁচড়ে এক পাশে লাগিয়ে দিন হেয়ার ক্লিপ। চাইলে হেয়ার ব্যান্ডও ব্যবহার করতে পারেন। অনেকেই ছোট শিশুদের ভারী সাজে সাজান, যা তাদের বয়সের সাথে বড্ড বেমানান। ওরা নিজের চঞ্চলতার সাজেই সুন্দর। তাই চিকন কাজলের রেখা, হালকা লিপগ্লসে সাজান তাকে।
ছেলে বাবুদের ঈদের সাজ বলতে মূলত পোশাকই বোঝানো হয়। পাঞ্জাবী না টি শার্ট? পছন্দ ছেড়ে দিন ওর ওপর। তবে ঈদের সকালে ভারী শার্ট না পরানোই ভালো। এক্ষেত্রে সুতি ফতুয়া বা গেঞ্জি পরাতে পারেন।