খবর৭১ঃ করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সরকার বিদেশ নেওয়ার অনুমতি দিলে তার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে একথা জানান খালেদা জিয়ার জন্য গঠিত চিকিৎসক টিমের অন্যতম সদস্য অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, বিদেশে যাওয়ার ব্যাপারে তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হয়েছে। এখন কীভাবে বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেবে- তা সরকারের বিষয়।
বিমানে যাওয়ার মতো খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ডা. জাহিদ বলেন, বিদেশে যাওয়ার অনুমতির আবেদন করা হয়েছে। এখন অনুমতি পেলে মেডিকেল বোর্ড এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্য দিয়ে ডা. জাহিদ জানান, তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। তিনি এখনো করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শুক্রবার সকালেও তাদের দেখেছেন এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মেডিকেল বোর্ড আগের চিকিৎসাই অব্যাহত রেখেছে।গতকালের (বৃহস্পতিবার) মতো আজও (শুক্রবার) তার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক মনোভাব দেখানো হয়েছে। সরকারের মনোভাব জানার পর বিদেশ নেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে খালেদা জিয়ার পরিবার। বুধবার রাতেই বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন শামীম এস্কান্দার। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা জানিয়ে তাকে যুক্তরাজ্যে নেওয়ার সহযোগিতা চান তিনি। হাইকমিশনার যুক্তরাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে শামীম ইস্কান্দারকে জানান, তার সরকার বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসা করাতে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। যুক্তরাজ্যে যেতে তার সরকার ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে হাইকমিশনার তাকে অবহিত করেন। সরকারের সবুজ সংকেত পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করেন শামীম এস্কান্দার। সকালে আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে খালেদা জিয়ার পাসপোর্ট নবায়নের জন্য জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাসপোর্ট পাওয়ার পর ভিসার জন্য তা যুক্তরাজ্য হাইকমিশনে জমা দেওয়া হবে।ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনের একজন মুখপাত্র শুক্রবার বলেন, কোনো ইন্ডিভিজুয়াল কেসের ক্ষেত্রে আমরা মন্তব্য করি না। যদি খালেদা জিয়া ভিসার জন্য আবেদন করে থাকেন তাহলে সেই বিষয়টি যুক্তরাজ্য সরকার বিবেচনা করে দেখবে।