রেদোয়ান হোসেন জনি, মিরসরাইঃ
মিরসরাই উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এবার ৬ টি প্যাকেটে ৩০ কেজি ভারতীয় মহিষের কলিজা জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত মাংসগুলো বুধবার রাতে উপজেলার জামালপুর আজিজিয়া হাফেজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ইতিপূর্বে বারইয়ারহাট পৌরসভার গরুর মাংস বিক্রেতাদের নানা জালিয়াতির একটি ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন সকল মাংস ব্যবসায়ীদের নিয়ে জরুরী বৈঠকে বসেন। বারইয়ারহাট পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হওয়া সেই বৈঠকে গরুর মাংস বিক্রিতে জালিয়াতি বন্ধের জন্য কঠোরভাবে হুশিয়ার করেন এবং মাংসের নতুন দাম নির্ধারণ করে দেন। তখন বাইরে থেকে নালা, বট ও কলিজা এনে বিক্রির জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মেয়র। কিন্তু ব্যবসায়ীরা মেয়রের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিম্মমান ও কমদামের ৩০ কেজি ভারতীয় মাংস বিক্রি করার জন্য আনলে মেয়র গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে তা জব্দ করেন। পরে জব্দকৃত মাংস মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিনহাজুর রহমানের পরামর্শে জামালপুর আজিজিয়া হাফেজুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় প্রদান করা হয়।
বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, বারইয়ারহাট পৌরবাজারের মাংস বিক্রেতারা দীর্ঘদিন ধরে নানা জালিয়াতি করে আসছে তম্মধ্যে অন্যতম গরুর মাংসে মহিষের মাংস মেশানো, শুধু মাংসের মধ্যে নালা গুড়ো করে মেশানো, মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে চর্বি ও হাঁড় দেওয়া, ওজনে কম দেওয়া, ফ্রিজের পঁচা মাংস বিক্রি। এসব জালিয়াতি বন্ধে সকল মাংস বিক্রেতাদের নিয়ে পৌর সম্মেলন কক্ষে এক বৈঠকে তাদের বেশকিছু নির্দেশনা দেওয়া হলেও তারা তা মানছেন না। তারই প্রেক্ষিতে ভারতীয় ৩০ কেজি মহিষের কলিজা জব্দ করা হয়েছে।