খবর ৭১: রোজার ঈদকে সামনে রেখে জনস্বার্থ বিবেচনায় আগামী বৃহস্পতিবার (৬ মে) থেকে ‘শর্ত সাপেক্ষে’ গণপরিবহন চালুর ব্যাপারে সক্রিয় চিন্তা ভাবনা করছে সরকার।
সোমবার বিআরটিএ ও বিআরটিসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এ কথা জানান।
তবে জেলার মধ্যে বাস চলাচলে শর্ত তুলে ধরে তিনি বলেন, জেলার গাড়িগুলো জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে এবং কোনোভাবেই জেলার সীমানা অতিক্রম করতে পারবে না। সিটির ক্ষেত্রেও সিটি পরিবহন সিটির বাইরে যেতে পারবে না। বাস ছাড়ার আগে সম্পূর্ণ স্বাস্থবিধি মেনে পুরো বাসে জীবাণুনাশক ছিটাতে হবে। যাত্রী, বাসচালক ও সহকারীকে শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক সিট খালি রেখে গণপরিবহন চালাতে হবে।
তিনি বলেন, পরিবহনগুলোকে অবশ্যই অর্ধেক আসন খালি রেখে নতুন সমন্বয়কৃত ভাড়ায় চলতে হবে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না, পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং প্রতি ট্রিপে গাড়ি জীবাণুমুক্ত করাও বাধ্যতামূলক হতে হবে।
শিগগিরই এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও জানান ওবায়দুল কাদের।
করোনাভাইরাসের বিস্তার কমাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ জারি হয়, ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হয় ‘কঠোর’ লকডাউন। তখন থেকেই সড়ক, নৌ ও রেলপথে যাত্রী পরিবহন বন্ধ।
সম্প্রতি দোকান-পাট, শপিংমল ও বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করা হলেও রেলপথে ও গণপরিবহনে যাত্রী পরিবহন এখনও বন্ধ রয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে গণপরিবহন চালুর দাবিতে রোববার সারা দেশে বিক্ষোভ করেন সড়ক পরিবহন শ্রমিকরা।
এদিকে মহামারির এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর শুধু শহরের মধ্যে সীমিত আকারে যানবাহন চালুর অনুমতি দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে বলে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম জানিয়েছেন।