খবর৭১ঃ ক্যান্ডির পাল্লেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে বল কুড়াতে কুড়াতেই সময় কেটেছে বাংলাদেশ দলের। প্রথম দিনে ২৯১ রান খরচ করে টাইগাররা শিকার করেছে মাত্র এক উইকেট।
শুক্রবার দ্বিতীয় দিনে সফল বাংলাদেশ দলের বোলাররা। এদিন ১৭৮ রান খরচ করে ৫ উইকেট শিকার করেছেন তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলামরা।
সিরিজের প্রথম টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়া শ্রীলংকান অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। ১৯০ বলে ১১৮ রান করা করুনারত্নেকে বৃহস্পতিবার সাজঘরে ফেরান তরুণ পেসার শরিফুল ইসলাম।
শুক্রবার ২৯১/১ রানে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৭ রান যোগ করতেই ৩ উইকেট হারায় শ্রীলংকা। দ্বিতীয় দিনে ১৩১ রানে ব্যাটিংয়ে নেমে এদিন আর মাত্র ৯ রান যোগ করে সাজঘরে ফেরেন থিরিমান্নে। দিনের শুরুতে তাসকিন আহমেদের বলে উইকেটকিপার লিটন দাসের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন লংকান এ ওপেনার। তার আগে ২৯৮ বলে ১৫টি বাউন্ডারিতে ১৪০ রান করেন থিরিমান্নে।
চার নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৫ বলে মাত্র ৫ রান করতেই তাসকিন আহমেদের দ্বিতীয় শিকার শ্রীলংকার সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জোলো ম্যাথিউস। ৯ বলে ২ রান করে তাইজুলের স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে ফেরেন প্রথম টেস্টে ১৬৬ রানের ইনিংস খেলা ধনঞ্জয়া ডি সিলভা।
ছয় নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নামা পাথুম নিশাঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেটে ৫৪ রান যোগ করেন শুক্রবার ৪০ রানে ব্যাটিংয়ে নামা ওসাদা ফার্নান্দো।
৪ উইকেটে ৩৮২ রান করা শ্রীলংকা এরপর শূন্য রানের ব্যবধানে হারায় ২ উইকেট। ৮৪ বলে ৩০ রান করে তাসকিন আহমেদের তৃতীয় শিকারে পরিনত হন নিশাঙ্কা। ফিফটি তুলে নিয়ে সেঞ্চুরি পথে অগ্রসর হওয়া ওসাদা ফার্নান্দোকে ৮১ রানে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ।
৬ উইকেটে ৪২৫ রান নিয়ে চা পান বিরতিতে যায় শ্রীলংকা। এরপর ব্যাটিংয়ে নেমে ১৬ রান সংগ্রহ করতেই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির কারণে ২১ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। বৃষ্টির আগে ১৪৯ ওভারে ৪৩৬/৬ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। বৃষ্টির পর ৬.৫ ওভার খেলা হতেই আলো স্বল্পতা দেখা দেয়। আলো স্বল্পতার কারণে দ্বিতীয় দিনের ২৪.১ ওভারের খেলা মাঠে গড়ায়নি। তার আগে ৬ উইকেটে ৪৬৯ রান সংগ্রহ করে শ্রীলংকা। ৬৪ ও ২২ রানে অপরাজিত আছেন নিরশন ডিকওয়ালা ও রামেশ মেন্ডিস।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১৫৫.৫ ওভারে ৪৬৯/৬ (থিরিমান্নে ১৪০, করুনারত্নে ১১৮, ওশাদা ৮১, ডিকওয়েলা ৬৪*, নিশাঙ্কা ৩০, মেন্ডিস ২২*; তাসকিন ৩/১১৯, শরিফুল ১/৯১, তাইজুল ১/৮৩ মিরাজ ১/১০২)।