বিবাদ ভুলে’ চীনের সাহায্য নিচ্ছে দিল্লি!

0
250

খবর৭১ঃ
করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত ভারত। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানিতে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার এ দেশটি।

করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্বের অনেক দেশ ভারতের সাহায্যে এগিয়ে আসছে। এরই মধ্যে আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করেছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চীনও।

করোনা মহামারিতে বিপর্যয় কাটিয়ে ‍উঠতে বিদেশি ত্রাণ নিতে বাধ্য হচ্ছে ভারত। এ জন্য তারা ১৬ বছর আগের ‘ত্রাণ না নেওয়ার’ সিদ্ধান্ত বদল করে ফেলেছে।

ফলে করোনা মহামারিতে ‘বিবাদ ভুলে’ এখন চীনের সাহায্যও নিতে হচ্ছে দিল্লিকে।

দরিদ্র দেশের তকমা কাটিয়ে উঠতে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ক্ষেত্রে বিদেশ থেকে ত্রাণ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১৬ বছর আগে। কিন্তু মহামারির প্রকোপে সেই পণ থেকে সরে আসতে হলো ভারতকে।

আনন্দবাজার জানিয়েছে, করোনা সামাল দিতে ভারতকে এখন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়ার মতো দেশ থেকে সাহায্য নিতে হচ্ছে। শুধু তাই নয়, সীমান্ত সংঘাত ঘিরে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তলানিতে এসে ঠেকা চীনের কাছ থেকেও সাহায্য নেওয়ায় আর আপত্তি নেই বলে জানিয়েছে দিল্লি।

প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তানও ইতোমধ্যেই সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও পাকিস্তানের কাছ থেকে সাহায্য নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিমত রয়েছে সাউথ ব্লকে।

ভারতের ভয়াবহ করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের সাহায্যে যেসব দেশ এগিয়ে এসেছে, তার মধ্যে রয়েছে- আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম, রোমানিয়া, লাক্সেমবার্গ, পর্তুগাল, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, সিঙ্গাপুর, সৌদি আরব, হংকং, তাইল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড, নরওয়ে, ইতালি এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।

এর মধ্যে অক্সিজেনের জোগান দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভুটান। রেমডেসিভির এবং অন্যান্য ওষুধের পাশাপাশি মে মাসে অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি প্রতিষেধক ভারতের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নেওয়ার কথা জানিয়েছে আমেরিকা।

বিগত কয়েক বছরে চীনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতি ঘটলেও, সেখান থেকেও ২৫ হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটর এসে পৌঁছনোর কথা। ভারতে চীনের রাষ্ট্রদূত সান উইদং সে কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘চীনের চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহকারীরা অতিরিক্ত পরিশ্রম করছেন যাতে ভারতের কাছ থেকে পাওয়া কমপক্ষে ২৫ হাজার অক্সিজেন কনসেনট্রেটরের বরাত সময় মতো দেওয়া যায়। তার জন্য সরঞ্জাম সরবরাহকারী বিমানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দেশের শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা এই সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সারছেন’।

চীন থেকে অক্সিজেন কনসেনট্রেটর আমদানি কথা স্বীকার করেছে দিল্লিও। যদিও এই আমদানিকে সাহায্য বলে মানতে নারাজ তারা। বরং কেউ যদি নিজে থেকে সাহায্য করে, তা ফেরানোর প্রশ্ন নেই বলে জানিয়েছে।

এ ব্যাপারে দিল্লির এক কর্মকর্তার যুক্তি, ‘ভারত কারও কাছে সাহায্য চায়নি। এ গুলো সব টাকা দিয়ে কেনা হচ্ছে। তবে কোনো কোনো দেশের সরকার বা সেখানকার বেসরকারি সংস্থা যদি উপহার হিসেবে কিছু সাহায্য বা অনুদান দিতে চান, তা কৃতজ্ঞতার সঙ্গেই গ্রহণ করব আমরা।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here