খবর৭১ঃ নিজেদের অতিরিক্ত প্রয়োজন মিটাতে গিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলংকার মতো প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্য ভ্যাকসিন মৈত্রী কর্মসূচি অন্তত আগামী জুলাইয়ের আগে শুরু করতে পারছে না ভারত।
করোনা মহামারির ব্যাপকতায় দেশটিতে হঠাৎ সংকট দেখা দেওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।-খবর দ্য হিন্দুর
আগামী পহেলা মে দেশের সবার জন্য টিকাদান কর্মসূচি শুরু করার পরিকল্পনা করেছে ভারতীয় সরকার। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়ে প্রতিবেশী দেশের জন্য মঞ্জুরিকৃত ও বাণিজ্যিক টিকা রফতানি স্থগিত করে দিয়েছে মোদি সরকার।
যেসব প্রতিবেশী ইতিমধ্যে অর্থ পরিশোধ করেছে, তারাও জুলাইয়ের আগে টিকা পাবে না। তাদের শেষ ব্যাচের টিকা এপ্রিলের শুরুর দিকেই পাঠানো হয়েছে।
কখন প্রতিবেশী দেশগুলোতে ট্কিা সরবরাহ করা হবে, বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোনো সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে পারেননি ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা।
এখন টিকা রফতানি বন্ধ করে দিলে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে খারাপ হয়ে যাবে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন—বর্তমানে আমাদের নিজেদের প্রয়োজন অনেক বেশি। আমাদের অংশীদারদের সেই প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিতে হবে। আমাদের টিকাদান কর্মসূচি ২০০ থেকে ৩০০ কোটি বাড়াতে হবে।
শ্রিংলা বলেন, ভারতের প্রয়োজন খুবই বেশি। এখন যে পরিমাণ টিকা উৎপাদন করা হচ্ছে—তা নিজেদেরই লাগছে।
তবে টিকা কর্মসূচি নিয়ে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সংকট নিয়ে সচেতনতার কথা জানিয়েছেন ভারতীয় দুই কর্মকর্তা।
গত ২ এপ্রিল ভারতের কাছ থেকে এক লাখ ডোজের চালান পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২১ ফেব্রুয়ারির পর থেকে কোনো বাণিজ্যিক চালান আসেনি। তখন দুই লাখ ডোজের একটি চালান বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছিল।