খবর৭১ঃ
করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরও অনেকে ঘ্রাণশক্তি ফিরে পাচ্ছেন না। তাদের চিকিৎসায় স্টেরয়েড ব্যবহার না করে গন্ধ শোঁকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই প্রক্রিয়ায় রোগীকে কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ধরনের গন্ধ শুঁকতে হবে। মস্তিষ্ক যাতে আবারও নানা ধরনের ঘ্রাণ শনাক্ত করতে পারে, সে জন্য পর্যায়ক্রমে এ কাজ করে যেতে হবে।
এই প্রক্রিয়াকে তারা বলছেন ‘স্মেল ট্রেনিং’। এই ‘স্মেল ট্রেনিং’ সহজ ও সাশ্রয়ী বলে একদল বিশেষজ্ঞ অভিমত দিয়েছেন। তারা বলছেন, স্টেরয়েডে যেমন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে, তা এই প্রক্রিয়ার মধ্যে নেই।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের সাধারণ উপসর্গগুলোর মধ্যে জ্বর ও কাশির সঙ্গে স্বাদ-গন্ধ হারানোর বিষয়ও রয়েছে।
অধিকাংশের ক্ষেত্রে সেরে ওঠার পরপরই ঘ্রাণশক্তি ফিরে আসে। তবে প্রতি পাঁচজনে একজন বলেছেন, অসুস্থ হওয়ার আট সপ্তাহ পরও ঠিকমতো ঘ্রাণ পাচ্ছেন না তারা।
করোনায় আক্রান্ত মানুষের ঘ্রাণশক্তি ফেরানোর জন্য চিকিৎসকেরা করটিকোস্টেরয়েড গ্রুপের ওষুধ সেবনের পরামর্শ দিচ্ছেন। শরীরে প্রদাহ কমাতে ব্যবহৃত এই ওষুধ শ্বাসকষ্টের রোগীদের চিকিৎসায়ও ব্যবহৃত হয়।
তবে যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ইস্ট অ্যাঙ্গিলার নরউইচ মেডিকেল স্কুলের অধ্যাপক কার্ল ফিলপট বলছেন, ঘ্রাণশক্তি হারানোর চিকিৎসায় করটিকোস্টেরয়েডের উপকারিতার প্রমাণ খুব একটা নেই। তারওপর সেগুলো সেবনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সেরে ওঠার পর ঘ্রাণ হারানোর চিকিৎসায় এগুলো সেবন করতে অনুৎসাহিত করা।’
কারণ, ‘স্টেরয়েডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মধ্যে হাত-পা ফুলে যাওয়া, উচ্চ রক্তচাপ এবং আচরণগত পরিবর্তন দেখা দিতে পারে।’
ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম অব অ্যালার্জি অ্যান্ড রাইনোলোজি সাময়িকীতে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে গবেষকেরা কোভিড-১৯ থেকে সেরে ওঠা লোকজনের ঘ্রাণশক্তি ফেরানোর জন্য স্টেরয়েড ব্যবহারের বদলে ওই ‘স্মেল ট্রেনিংয়ের’ পরামর্শ দিয়েছেন।