করোনা সংক্রমণ রোধে ‘থ্রি সি’ এড়িয়ে চলতে হবে

0
310

খবর৭১ঃ

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে হাত ধোয়া, মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায়সহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানা ছাড়াও বাসাবাড়িতে মুক্তবাতাসের ব্যবস্থা করার উপর জোর দিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তারা বলেন, আমাদের ‘থ্রি সি’ অর্থাৎ ক্রাউড, ক্লোজ কন্টাক্ট ও ক্লোজ কনভার্সেশন এড়িয়ে চলতে হবে।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আরো বলেন, বদ্ধ জায়গা যেমন বাড়িঘর, শপিংমলসহ সর্বত্র দরজা-জানালা খুলে বাতাস চলাচলের স্বাভাবিক ব্যবস্থা করতে হবে। কোনো পদক্ষেপ নেয়ার আগে সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে, প্রস্তুত হতে সময় দিতে হবে। স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন, সবার জন্য টিকা নিশ্চিত করতে হবে। প্রতিবেশী ভারতে উচ্চ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে বাংলাদেশ সরকারের সতর্ক পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

শনিবার গভীর রাতে ‘স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের’ উদ্যোগে ‘করোনাভাইরাসের বিস্তার ও প্রতিরোধ নিয়ে বিভ্রান্তি ও আশু করণীয়’ শীর্ষক ওয়েবিনারে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত দেন।

স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ড. জিয়াউদ্দিন হায়দারের পরিচালনায় আলোচনায় অংশ নেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি স্কুল অব পাবলিক হেল্থের অধ্যাপক মৃনাল কান্তি মৃধা এবং যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের ক্লিনিক্যাল প্র্যাক্টিশনার ডা. সালমা হাসান।

সংস্পর্শ, ড্রপলেট ছাড়াও বাতাসের মাধ্যমেও করোনা ছড়ায় বলে মনে করেন গবেষকরা। এ প্রসঙ্গে ডা. সালমা বলেন, এখন আমাদেরকে নতুন করে আরো সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। আগের মতো সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে, সার্জিক্যাল মাস্ক পড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। স্বাস্থ্যবিষয়ক জার্নাল ল্যানসেটে যে প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে, বাতাসে করোনা ছড়ায়- তা নিয়ে আমাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে। নতুন করে আরো সতর্ক হতে হবে।

জাপানের প্রসঙ্গ টেনে মৃনাল কান্তি বলেন, জাপানে ‘থ্রি সি’ মেনে চলতে বলা হচ্ছে। ক্রাউড, ক্লোজ কন্টাক্ট ও ক্লোজ কনভার্সেশন- এই তিনটি এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে। এগুলোর সাথে আমরা হাত ধোয়া থেকে শুরু স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যা যা করতাম তা করব।

তিনি বলেন, আমাদের দেখতে হবে একটি বদ্ধ ঘরে ভাইরাসের ঘনত্ব কতটুকু। আর একজন মানুষ কতটুকু সময় একটা বদ্ধ জায়গায় কাটালে করোনা আক্রান্তের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়। কিভাবে আমরা বাতাসে ভাইরাসের ঘনত্ব কমাতে পারি? একটা উপায় হচ্ছে বদ্ধ ঘরে বাতাসের চলাচল বাড়িয়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের জন্য ভালো উপায় হলো বদ্ধ ঘরের দরজা জানালা খুলে দেয়া।

শপিংমল যদি খুলতেই হয় সেক্ষেত্রে বদ্ধ জায়গায় মানুষের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করা, সময় নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। সবার জন্য মাস্কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে হবে। আমি সবাইকে অনুরোধ করব- একটা সার্জিক্যাল মাস্ক, তার উপরে একটা কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরেন। এতে অন্যদের দ্বারা আক্রান্ত অথবা সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা কমে যাবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here