স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট
বাগেরহাটের কচুয়ার উপজেলা রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুব লীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর বিরুদ্ধে গোয়াল মাঠ এলাকার জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়ার বাড়িতে হামলা ,মারধর , ভাংচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়া (৩৮) ছাড়াও তার মাতা মোসাঃ রহিমা বেগম (৬০) ও শাশুড়ী নাহার বেগম (৫০) গুরুতর আহত হয়। জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়া কচুয়া উপজেলার রাড়িপাড়া ইউনিয়নের মৃত মোঃ মুনসুর আলীর ছেলে।
এ বিষয়ে আহত জাহিদুল ইমলাম ডাকুয়ার স্ত্রী মোসাঃ মনিরা বেগম বলেন, বুধবার (২১ এপ্রিল) দিবাগত রাত পৌনে ৪ টার দিকে আমরা সেহেরী খাচ্ছিলাম এ সময় আমাদের বাড়ির সামনের গ্যারেজ পাহারাদার হাবিবুর রহমান আমার স্বামীকে ডেকে বলে মেহেদী হাসান বাবু আসছে দরজা খুলতে বলছে। এসময় আমার স্বামী বাইরে বেশি লোকজনের আনাগোনা দেখে স্বন্দেহ হয় এবং সে দরজা খোলে নাই। দরজা না খোলার এক পর্যায়ে মেহেদী হাসান বাবু, তার পিতার গাড়ির ড্রাইভার নজরুল ইসলামসহ ১০/১৫ সন্ত্রাসী মিলে পাহারাদার হাবিবুর রহমানকে মরাধর করে ও আমাদের উদ্দেশ্য করে গালাগাল দেয়। হামলা কারিরা চাইনিজ কুড়ার ,হকস্টিক,লোহার রড়সহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আমাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় আমার স্বামীকে মারধরের এক পর্যায়ে উলঙ্গ হয়ে দৌড়ে পাশ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায। হামলা কারিরা আমার মা নাহার বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ও হাতে আঘাত করে। হামলার সংবাদ শুনে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান আমার শাশুড়ি লোকজন নিয়ে পুরান বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসলে পথে মেহেদী হাসান বাবু ও তার লোকজন আমার শ্বাশুড়িকে হামলা করে। ঘরে টিভি, ফ্রিজ,আলমারিসহ ঘরের বিভিন্ন মামলার ভাংচুর করে ও আলমারির ড্রয়ারে থাকা নগদ ২৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় হামলা কারিরা। বর্তমানে আমার স্মামী,শ^াশুড়ি ও মা বাগেরহাট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই মেহেদী হাসান বাবু কচুয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এস এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে কি কারনে এই কর্মকান্ড ঘটিয়েছে তা এখনো বুঝতে পারছিনা।
এ বিষয়ে মেহেদী হাসান বাবু বলেন আমার পিতা আইসিইউ তে ভর্তি আমি তা নিয়ে ব্যস্ত রয়েছি। যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এ ফোন পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ দিলে দ্রুত তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।