খবর৭১ঃ দেশে এবার করোনাভাইরাসের নাইজেরিয়ার ভ্যারিয়েন্টের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এই ভ্যারিয়েন্টের নাম বি.১.৫২৫। করোনাভাইরাসের জিনোমের উন্মুক্ত তথ্যভান্ডার জার্মানির গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডেটার (জিসএআইডি) ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে করোনার এ ধরন শনাক্ত হওয়ার খবর প্রকাশিত হয়েছে।
মার্চ ও এপ্রিল মাসের সংগ্রহ করা নমুনার সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পেয়েছেন দেশের গবেষকরা।
গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা ডাটার (জিসএইড) ওয়েবসাইটের তথ্য থেকে এসব জানা যায়।
জিসএইডের তথ্যানুযায়ী, এখন পর্যন্ত দেশের দুই বিভাগের ৮টি নমুনা পরীক্ষায় এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। ঢাকার উত্তরা, আজিমপুর ক্যান্টনমেন্ট এলাকার পাশাপাশি সিলেটের সুনামগঞ্জ থেকে সংগ্রহ করা নমুনায় এই ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।
এসব নমুনা এই বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে পুরুষ ৬ জন এবং নারী দুজন।
জিসএইড এ এসব তথ্য আপলোড করে বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর), আইডিইএসএইচআই (আইদেশি) এবং চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন।
প্রসঙ্গত, নাইজেরিয়ার এই ভ্যারিয়েন্টের সর্ব প্রথম উপস্থিতি পাওয়া যায় যুক্তরাজ্যে। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারির ১৫ তারিখ নাইজেরিয়ায় এটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়ে। ২৪ ফেব্রুয়ারির দিকে যুক্তরাজ্যে ৫৬টি নমুনার সিকোয়েন্সিংয়ে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। ডেনমার্কে ১৪ জানুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১৩টি নমুনা সিকোয়েন্সিং করে এই ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাতটি নমুনা পাওয়া যায় সরাসরি নাইজেরিয়া থেকে আসা ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করে।
চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি), সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের যৌথ গবেষণায় বলা হয়, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল—এই তিন দেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের তিনটি ধরন (ভেরিয়েন্ট) সবচেয়ে বেশি সংক্রামক।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, দেশে করোনার ভারতীয় ধরা পড়লে সেটি হবে খুবই ভয়ংকর। ভারত এখন করোনা সংক্রমণের হটস্পটে পরিণত হয়েছে।