খবর৭১ঃ গত সপ্তাহে মারা যায় ভারতের পশ্চিমবঙ্গের অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর চিকু নামের পোষা কুকুর। এখনও সেই কুকুরের শোকে কাতর মিমি।
মারা যাওয়া ওই কুকুরের স্মৃতি এখনও তিনি ভুলতে পারছেন না। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা স্মৃতিচারণ করছে। ওই কুকুরকে তিনি নিজের ছেলের মতো আদর করতেন বলে জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী।
করোনাভাইরাসে ভারত যখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের মৃত্যুর মিছিল হচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ প্রতিদিন যেখানে আক্রান্ত হচ্ছে মহামারী এ ভাইরাসে। এমনকি তার সহকর্মীদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত। ঠিক ওই সময় তার কুকুরের মৃত্যুতে তিনি বেশি শোকাহত। তার ফেসবুক, ইনস্টাগ্রামজুড়ে চিকু নামের নামের কুকুরের জন্য শোকের ছায়া।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর এখনও মানতে কষ্ট হচ্ছে তার পোষ্য আর ফিরবে না কোনও দিন। তিনি কাজ থেকে ফিরলে আর গায়ের উপরে ঝাঁপাবে না। ঘরজুড়ে থাকবেও না। কথাগুলো মনে পড়লেই চোখ ভিজে আসছে তার। তত বেশি করে তিনি আশ্রয় খুঁজছেন চিকুর পুরনো ছবি, ভিডিওতে।
কিছু দিন আগেই চিকুর সঙ্গে বাড়ির ছাদে তোলা খেলাধুলোর একটি পুরনো ভিডিও পোস্ট করেছিলেন তিনি। লিখেছিলেন, একবার ফিরে আয়!
শুক্রবার রাতে তিনি পোস্ট করলেন চিকুকে জড়িয়ে ধরে তোলা ২টি ছবি। শেয়ার করা ছবি বলছে, মাতৃ স্নেহেই পোষ্য সারমেয়কে আদরে ভরিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী।
ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে মিমি লেখেন, জলে ঝাপসা আমার চোখ। চিকুর (কুকুরের) কথা মনে পড়লেই আমার দম যেন আটকে আসছে। ২ হাত চিকুকে জড়ানোর জন্য আকুল। বুকটাও যেন খালি খালি লাগছে। চিকুই যে নেই! তার পরেই তার দাবি, তবু এখনও আমার ঘরে তোর গায়ের গন্ধ ভাসে। আমি জানি, তোর সব কষ্ট জুড়িয়েছে। তুই শান্তিতে আছিস। আর আছিস আমার স্মৃতিতে।
তার শোকের স্ট্যাটাসে কেউ কেউ এটাকে অতিরঞ্জিত হিসেবেও অভিহিত করেছেন। এ বাড়াবাড়ি নিয়ে অনেকে এ নিয়ে হাস্যরসও করছেন।
কুকুরের জন্য শোকের স্ট্যাটাসের কমেন্ট বক্সে একজন লিখেছেন, আজ অবলা মেয়েটা চেকা খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছে, মনের কথাগুলো জমা না রেখে কুত্তার সাথে ভাগ করছে।বেঁচে থাক মানবতা সৃষ্টির ভালোবাসা।
আরেকজন লিখেছেন, ম্যাডামজি একমাত্র নিজের কুকুরকে মানুষ মনে করে, এবং মানুষকে রাস্তায় কুকুর মনে করে, আবার এরা বলে আমরা ভোটে জয়ী হলে মানুষের সেবা করবে।
আরেকজন ট্রোল করে লিখেছেন, কুত্তা নিয়ে বেশি খেলো না। করোনাভাইরাসে পরিস্থিতি অনেক খারাপ। কিছু একটা হয়ে গেলে তোমার চিকিৎসা করাতে কিন্তু পারবো না। তখন আবার বলে বসবে আমার বয়ফ্রেন্ড ভালো লোক নয়।