টাকা নিয়ে সেরামের টিকা আটকানোর অধিকার নেই: পাপন

0
309

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাসের দেড় কোটি ডোজ টিকার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটকে টাকা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নাজমুল হাসান (পাপন) বলেছেন, টাকা নেওয়ার পর টিকা আটকানোর কোনো অধিকার সেরামের নেই।

তিনি বলেন, দেড় কোটি ডোজ টিকার জন্য অগ্রিম টাকা দেওয়া হয়েছে। টিকা এসেছে ৭০ লাখ ডোজ। এখনো ৮০ লাখ ডোজ টিকা সেরাম ইনস্টিটিউট দেয়নি। সরকারের উচিত এই টিকার জন্য জোরালোভাবে বলা।

শনিবার (১৪ এপ্রিল) কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর নাজমুল হাসান সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন। বাংলাদেশে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকা আনার ব্যাপারে এজেন্টের কাজ করছে বেক্সিমকো ফার্মা।

বেক্সিমকো ফার্মার এমডি নাজমুল হাসান বলেন, সরকার অগ্রিম যে টাকা দিয়েছে, সে অনুযায়ী টিকা দেবে না, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। সরকারের স্পষ্ট ভাষায় বলা উচিত, অগ্রিম টাকা অনুযায়ী টিকা আমাদের দিতে হবে। দেড় কোটি ভ্যাকসিনের টাকা দিয়েছি। সেটা আটকানোর কোনো অধিকার সেরামের নেই।

পাপন আরও বলেন, ভারত যে বাংলাদেশের বন্ধু, সেটা এখন বিবেচনা করার সময় এসেছে। মিষ্টি কথায় সব চলবে না। ন্যায্য পাওনাও বুঝিয়ে দিতে হবে।

সম্প্রতি সেরাম ইনস্টিটিউটের সিইও আদর পুনাওয়ালা বলেছেন, আগামী জুন–জুলাইয়ের আগে তারা টিকা রপ্তানি করতে পারবে না।

আদর পুনাওয়ালার ওই কথার প্রেক্ষিতে দেশে টিকা নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। এর মধ্যেই বেক্সিমকো ফার্মার এমডি নাজমুল হাসান একথা বললেন।

এর আগে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বৃহস্পতিবার বলেছেন, সরবরাহের তুলনায় চাহিদা অনেক বেশি হওয়ায় বিশ্বব্যাপী করোনার টিকার প্রাপ্যতা নিয়ে একটা সংকট রয়েছে। বাংলাদেশ যেন টিকার কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারে, ভারতের পক্ষ থেকে সেই সহযোগিতা করা হবে।

বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, ‘আমরা যতগুলো দেশকে করোনার টিকা দিয়েছি তার মধ্যে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি টিকা ভারতের কাছ থেকে গ্রহণ করেছে। ভারতের কাছ থেকে টিকা গ্রহণকারী সর্ববৃহৎ দেশ বাংলাদেশ। চুক্তি অনুসারে ভারতের ৭ মিলিয়ন টিকা বাংলাদেশ গ্রহণ করেছে। সহযোগিতার জন্য আরও ৩.৩ মিলিয়ন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে।’

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত সরকারসহ বিভিন্ন দেশের ও কোম্পানি এবং টিকা প্রস্তুতের আসল ফর্মুলার মালিকদের সঙ্গে টিকার চুক্তিমূলক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সবাই মিলে টিকার প্রাপ্যতা ও সরবরাহ বাড়াতে কাজ করছে।

ভারতীয় হাইকমিশনার দোরাইস্বামী বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউটা অনেক বড়। ইন্ডিয়ার অবস্থাও দিন দিন কঠিন হচ্ছে। আমরা সবাই একত্রে কাজ করছি। দুই দেশ মিলে আমরা এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি। আমরা এর সমাধানে উভয় দেশ মিলেই সর্বাত্মক সহযোগিতার চেষ্টা করছি।’

বাংলাদেশে করোনার টিকার কার্যক্রম যেন চলমান থাকে, এর জন্য ভারত কাজ করে যাচ্ছে। টিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে যা আছে এর বেশি তো দেওয়া সম্ভব না। উৎপাদনের প্রাপ্যতার তুলনায় যত বেশি সম্ভব, বাংলাদেশকে টিকা প্রদানের নিশ্চয়তা আমরা দিয়েছি। আর আমাদের যা আছে তা বলতে পারব। যা নেই তা বলতে পারব না। ভারতের পত্রপত্রিকায়ও টিকার ঘাটতি নিয়ে সংবাদ পরিবেশন হচ্ছে। ভারতের বড় বড় শহরেও টিকার ঘাটতি রয়েছে।’

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here