খবর৭১ঃ আজ ২৪ এপ্রিল শনিবার, রানা প্লাজা ট্র্যাজেডির ৮ বছর। ২০১৩ সালের এই দিনে সেই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। সাভার বাজার বাসস্ট্যান্ড এলাকার রানা প্লাজা ধ্বসে ১ হাজার ১৩৬ জন শ্রমিকের প্রাণহানি হয়। সময়ের সাথে সাথে দেশের গার্মেন্টস খাতে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার স্মৃতি বিলীন হতে চলেছে। কিন্তু এখনো থামেনি কান্নার রোল। স্বজন হারানো পরিবারগুলোতে এখনো চলছে শোকের মাতম।
ভবন ধসে প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজারেরও বেশি মানুষ। যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তারা পঙ্গুত্ব নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। এ ঘটনায় পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে চারটি মামলা হয়। চারটি মামলা হলেও সেখান থেকে একটি মাত্র মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে রানা ও তার মায়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা নিষ্পত্তি হলেও এখন পর্যন্ত বাকি তিন মামলা নিষ্পত্তির খবর নেই। আবার হত্যা ও ইমারত আইনের রাজউকের মামলাটির এখনো সাক্ষ্যগ্রহণই শুরু হয়নি।
আট বছর আগে মামলা হলেও অভিযোগ গঠনের প্রায় পাঁচ বছর হতে যাচ্ছে। এই সময়ে হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ তো শুরু হয়নি বরং ২৫ বারের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর তারিখ পিছিয়েছে। ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন ওই মামলাটির সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ৫ মে দিন নির্ধারণ রয়েছে।
এদিকে মামলাটির কার্যক্রমের উপর দুই আসামি উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ নেয়ায় এর বিচার প্রক্রিয়ার জট এখনো খোলেনি। যে কারণে বিচার থেমে রয়েছে। এ বিষয়ে মামলা পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তারাও স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারছে না। তবে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।
শ্রমিক সংগঠনগুলোর দাবি, ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখনও যথাযথ ক্ষতিপূরণ পায়নি। যাদের অবহেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছিল, তাদেরও শাস্তি নিশ্চিত হয়নি। এর আগে বর্ষপূর্তিতে ক্ষতিপূরণ, পুনর্বাসন ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে সারাদেশে শ্রমিক ও রাজনৈতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করেছে। নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে এ বছর সেসব কর্মসূচি বাতিল করা হয়েছে।