খবর৭১ঃ চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের ওপর নিপীড়নকে প্রথমবারের মতো গণহত্যা হিসাবে ঘোষণা দিল ব্রিটেন।
সেই সঙ্গে এর নিন্দা জানিয়ে পার্লামেন্টে একটি বিলও পাস করেছে দেশটির আইনপ্রণেতারা। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাকে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এর আগে নেদারল্যান্ডস, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্র একই রকম বিল পাশ করেছে। তবে চীন বলেছে, উইঘুর ইস্যুতে ব্রিটেন ভুল করছে। তাদের উচিত নিজেদের এই ভুল সংশোধন করা। খবর এএফপির।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, দশ লাখের অধিক উইঘুর মুসলিমকে শিনজিয়াং প্রদেশের পুনর্বাসন কেন্দ্র উল্লেখ করে বন্দি রেখেছে চীন সরকার। তাদের ওপর নিয়মিত নিপীড়ন চালানো হয় বলে একাধিক অভিযোগ ও প্রমাণ রয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব ও মানবাধিকার কর্মীরা চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, নির্যাতন, বাধ্যতামূলক শ্রম ও জাতিগত নিধনের অভিযোগ করে আসছে।
কিন্তু চীন সরকার তার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্র বলে উড়িয়ে দিয়েছে। তবে এই ইস্যুতে বেইজিংয়ের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা দেশগুলো। বৃহস্পতিবার উইঘুর নিপীড়ক প্রস্তাবটি তোলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সরকারের এশিয়াবিষয়ক মন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামস।
তিনি বলেন, গোপন ক্যাম্পগুলোয় নির্যাতন চালাচ্ছেন শি জিনপিং সরকার। জোরপূর্বক কাজে বাধ্য করছে সংখ্যালঘুদের। মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়গুলো স্পষ্ট। এর জন্য চীনকে আন্তর্জাতিক আদালতের মুখোমুখি করারও প্রস্তাব দেন নাইজেল। নিন্দা প্রস্তাবটি মানতে বাধ্য নয় ব্রিটিশ সরকার।
তবে ধারণা করা হচ্ছে, এর প্রভাব পড়বে চীন-যুক্তরাজ্য সম্পর্কে। এদিকে গত মাসেই চীনের শীর্ষস্থানীয় ৪ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল দেশটি।
চলতি সপ্তাহেই বিভিন্ন প্রতিবেদনকে উদ্ধৃত করে জাতিসংঘের কাছে উইঘুর মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর বর্বর নির্যাতনের বিষয়ে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
যে হারে তাদের ওপর দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে সেটিকে মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসাবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।