বিয়ের আগে মাসব্যাপী কনের কান্না!

0
336

খবর৭১ঃ প্রাচীনকাল থেকেই পৃথিবীতে বিয়ের প্রথা চলে আসছে। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই যেখানে বিয়ের প্রথা চালু নেই। আর বিয়ের রীতিনীতি এক এক দেশে একেক রকম।

কথায় আছে, যস্মিন দেশে যদাচার অর্থাৎ যে দেশের যে রীতি। আমাদের দেশের আমরা শুধু হিন্দু বা মুসলিম প্রথার বিয়ে দেখে অভ্যস্ত। এর নিয়মকানুন সম্পর্কেও কম বেশি আমাদের জানা আছে। এভাবেই জাতি গোষ্ঠী ভেদে আচারেও রয়েছে ভিন্নতা। কোন দেশের বিয়ের রীতির এতটাই কঠিন যে তা শুনে বিয়ে না করাটাই শ্রেয় মনে হবে। আবার কোন দেশের বিয়ের রীতি হাসির রোল ফেলে দেয়। এমন দুটি মজার রীতির কথা আসুন জেনে নিই।

১) চীনে তুজা নামের এক সম্প্রদায় আছে। তাদের বিয়ের নিয়মকানুন শুরু হয় এক মাস আগে থেকে। আর সেই নিয়ম কি জানেন?

বিয়ের কনেকে কাঁদতে হবে। বিয়ে হয়ে মেয়ে বাপের বাড়ি থেকে সারাজীবনের জন্য বরের বাড়িতে চলে যাবে আর কাঁদবে না তা হয়! কিন্তু তুজা রীতিতে কনেকে কান্না শুরু করতে হয় এক মাস আগে থেকে। এটাই হচ্ছে তাদের বিয়ের বিশেষ রীতি। এক মাস থেকে দিনের একটি বিশেষ সময়ে আসর বসিয়ে কনে এক ঘন্টা করে কান্না চর্চা করবে। আর সবচেয়ে মজার বিষয় হল কনে একা কাঁদেন না। কনের এই মাসব্যাপী কান্নার সঙ্গী হন তার মা, বোন, চাচী, ফুফু আর খালারা।

অবশ্য এটাকে তারা কষ্টের কান্না বলে অভিহিত করেন না। এই কান্না তাদের কাছে গভীর ভালোবাসা আর খুশির বহিঃপ্রকাশ।

২) বিয়ের প্রধান আকর্ষণ হল বর-কনে। আর বিয়ের আসরে বরকে বেধে বেদম পিটানো হবে, এমন কথা শুনলে আর কেউ বিয়ের নাম মুখে আনবেন? কিন্তু মজার বিষয় হল, এটাও বিয়ের বিশেষ একটি প্রথা। আর এই প্রথা চালু আছে দক্ষিণ কোরিয়ায়।

সেখানে বিয়ের আসরে বরের জুতা মোজা খুলে নেয়া হয়। এরপর তার বন্ধুরা রশি দিয়ে বেধে বরকে শূন্যে ঝুলিয়ে দেয়। অতঃপর বরের পায়ের পাতায় লাঠি ও বিশেষ প্রজাতির মাছের কাটা দিয়ে আঘাত করা হয়। বিয়ের এই রীতিটি বেশ কষ্টসাধ্য হলেও এর পেছনে রয়েছে বিশেষ এক বিশ্বাস। তারা মনে করেন এর মাধ্যমে প্রথম রাতে নতুন বর হয়ে উঠবে আরও শক্তিশালী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here