উজ্জ্বল রায় (জেলা প্রতিনিধি) নড়াইল থেকে:
সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৫৮ বস্তা চাল কালো বাজারে বিক্রির সময় জব্দ করা হয়েছে। কালিয়া উপজেলার মাউলি ইউনিয়নের মহাজন বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জব্দ করা চাল সরকারি কোন গুদামের তা যাচাইয়ের জন্য সেগুলো মাউলি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আশরাফুল ইসলামের হেফাজতে রেখেছে কালিয়া উপজেলা প্রশাসন।
মাউলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মহাজন বাজারের ব্যবসায়ী প্রশান্তকুমার স্বর্ণার ও উত্তম সাহা জানান, দুপুর দেড়টার দিকে এক ভ্যানচালক ১৭ বস্তা চাল নিয়ে বাজারের সমশ্বের সাহার দোকানে বিক্রি করতে আসেন। বিষয়টি সন্দেহ হলে ভ্যানচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি বলেন, এসব বিপ্লব বিশ্বাসের মাল।
নড়াগাতি থানা পুলিশ খবর পেয়ে মহাজন বাজারে গিয়ে বিভিন্ন দোকান তল্লাশি চালিয়ে মনসা ট্রেডার্সের টিনের দোকান থেকে আরো ৪১ বস্তা চাল,বস্তাসেলাই করার ভোমর, খালি বস্তা, সুতলি এবং চাল মাপার যন্ত্র উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল কালো বাজারে বিক্রি করতে আনা হয়েছিল।
নড়াগাতি থানার পরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিভিন্ন কোম্পানির সিলযুক্ত ৫৮ বস্তা চাল স্থানীয় জনগণ আটক করে আমাদের খবর দেন। আটক করা চাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বড়দিয়া খাদ্যগুদামের ওসিএলএসডি দিবাকর বিশ্বাস বলেন, জব্দ করা চাল সরকারি গুদামের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় যে চাল দেওয়া হচ্ছে অর্থাৎ দশ টাকা কেজির চালের স্যাম্পলের সঙ্গে মিল নেই।
ব্যবসায়ী বিপ্লব বিশ্বাস দাবি করেন, এ‘ চাল খুলনা থেকে ব্যবসার জন্য বাজারে আনা হয়েছে। খরিদের রশিদও আমার কাছে আছে।’ তিনি দাবি করেন,এটা সরকারি খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতার চাল নয়। বাজারের কিছু ব্যবসায়ী হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে প্রশাসনকে খবর দিয়েছে।’
কালিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুদা বলেন, এ চাল সরকারি কোনো খাদ্যগুদামের কিনা তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য সাউলি ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।