ফুসফুস-কিডনি ভালো রাখে সফেদা

0
404

খবর ৭১: অত্যন্ত পুষ্টিকর একটি খাবার হলো সফেদা। আমাদের দেশে মৌসুমের এই সময়টাতে বাজারে ঢুঁ মারলেই দেখতে পাওয়া যায় সফেদা। অনেক পুষ্টিবিদদের মতে সফেদা আমাদের শরীরে জন্য অনেক ভালো এবং শরীরে ভালো শক্তি যোগায়। এই ফলটিতে ভিটামিন এ থাকার কারণে চোখ, ত্বক ও হাড়ের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এতে আছে ফাইবার, যা আমাদের হজমক্রিয়ায় সহায়তা করে এবং আমাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের হাত থেকে রক্ষা করে।

ফুসফুস-কিডনি ভালো রাখতে সফেদার কোন জুড়ি নেই এবং আমাদের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের হার্টকে ভালো রাখে। এছাড়াও আমাদের স্নায়ুকে শান্ত রেখে মানসিক চাপ ও উত্তেজনা দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে এর থেকেও একটি বড় কাজ হচ্ছে, এটি প্রিভেন্ট করে ওরাল ক্যানসার।

পুষ্টি বিজ্ঞানীদের মতে, প্রতি ১০০ গ্রাম খাওয়ারযোগ্য সফেদায় রয়েছে- ৮৩ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি, পাঁচ দশমিক ছয় গ্রাম আঁশ, ১৯৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ১৯ দশমিক ৯ গ্রাম চিনি, ২১ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ১২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেশিয়াম, শূন্য দশমিক ৮০ মিলিগ্রাম লোহা, ১২ মিলিগ্রাম ফসফরাস ও শূন্য দশমিক ১০ মিলিগ্রাম জিংক রয়েছে। এ ছাড়া এতে ফোলেট, পাইরিডক্সিন, থায়ামিন, রিবোফ্লোবিন, প্যান্টোথেনিক অ্যাসিড, ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। চলুন তাহলে জেনে নেই, সফেদার পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা-

• একটি ফাইবার সমৃদ্ধ ফল হলো সফেদা, তাই একে প্রাকৃতিক জোলাপ হিসেবে ব্যাবহার করা যায়।

• এতে আছে পর্যাপ্ত খাদ্য আঁশ যা হজম বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে। আধাপাকা সফেদা জলে ফুটিয়ে কষ বের করে খেলে ডায়রিয়া ভালো হয়।

• সফেদায় রয়েছে প্রদাহবিরোধী উপাদান , যা ক্ষয়কারক গ্যাস্ট্রিক, আন্ত্রিক প্রদাহ, পেট জ্বলা ইত্যাদি রোগের সমাধান করে থাকে।

• মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর করতে সফেদা খেতে পারেন। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-এ ও সি রয়েছে সফেদায়। নিয়মিত সফেদা খেলে মুখের ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায় ও দাঁত ভালো থাকে।
• শরীরের কোষের ক্ষতিসাধন প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। ঘন ঘন ঠাণ্ডা লাগার সমস্যার জন্য নিয়মিত সফেদা খান।

• শ্বাসকষ্ট দূর করতে সাহায্য করে এবং ফুসফুস ভালো রাখে।

• সফেদা সহায়তা করে ত্বকে বয়সের ছাপ দূর করতে। এতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-এ । এটি চোখ, ত্বক ও হাড়ের জন্য খুব ভালো।

• শরীরের ওজন কমাতে চাইলে নিয়মিত সফেদা খেতে পারেন। সফেদায় চর্বি থাকে না। তাই বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা নেই।

• সফেদার পুষ্টি ও কার্বোহাইড্রেট কর্মজীবী মায়ের জন্য অনেক উপকারী। এটা গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং মাথা ঘোরা দূর করতে সাহায্য করে।

• সফেদায় থাকা ডায়াটরি ফাইবার, পলিফেনলিক যৌগ ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।

• হাড়ের গঠনকেও মজবুত করে সফেদা, কারন এতে আছে ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস ।

• হঠাৎ করে সর্দি, কাশি হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে সফেদা খেতে পারবেন।

• সফেদায় আছে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ। এই গ্লুকোজ শক্তি দেয়। কাজেও আসে গতি।

• সফেদা ফলের স্নায়ু শান্ত করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে।
• সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়। • সফেদা বীজের চূর্ণ খেলে কিডনির রোগ ভালো হয় এবং এটা মূত্রাশয়ের পাথর অপসারণ করতে সাহায্য করে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here