খবর৭১ঃ
করোনা সংক্রমণের ভয়াবহ পরিস্থিতি ঠেকাতে সারা দেশে কঠোর লকডাউন দিয়েছে সরকার।এই লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।সরকারের নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারী এবং অকারণে বাহিরে বের হওয়া নাগরিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।কিন্তু এর মধ্যে বেশকিছু অভিযোগও উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
লকডাউনের প্রথম দিন পুলিশের চেকপোস্টে হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন কিছু চিকিৎসক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের স্ট্যাটাস ভাইরাল হয়ে যায়।এছাড়া তাদের স্ট্যাটাস গণমাধ্যমেও প্রকাশ হয়।এতে পুলিশ তীব্র সমালোচনার মুখে পড়ে।
এর প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১৫ এপিল) রাতে বিবৃতি দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।বিবৃতি বলা হয়, যাতায়াতের সময় যারা আইডি কার্ড দেখাতে পারেননি, তাদের যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। পুলিশ মনে করে, চলমান বিধিনিষেধের পরিপ্রেক্ষিতে এটি করা যৌক্তিক।
এ ছাড়া চিকিৎসক হয়রানির অভিযোগের বিষয় নিয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়েছেন।ফেসবুকে তারা স্ট্যাটাস দিয়েছেন।সেখানে তারা বলছেন, পুলিশের অসদাচরণের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেওয়ার পরপরই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু খুঁজে পাওয়া যায়নি কোনো কোনো স্ট্যাটাসদাতাকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকর্তা লিখেছেন, ডাক্তার ও পুলিশের মধ্যকার ঐতিহ্যগত সুসম্পর্ক নষ্ট করার জন্য একটি মহল সর্বদাই ক্রিয়াশীল। সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে মহলটি আরও বেশি তৎপর হয়ে উঠেছে।
ডিএমপির ওই বিবৃতিতে বলা হয়, কয়েকটি সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো কোনো ব্যক্তি পুলিশের নিরাপত্তাচৌকিতে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি ঢাকা মহানগর পুলিশের নজরে এসেছে। একটি ঘটনায় দেখা যায়, কারওয়ান বাজারে পুলিশ একজন গাড়িচালকের কাছে তার বাইরে বের হওয়ার কারণ জানতে চান। চালক বলেন, গাড়িটি একজন চিকিৎসকের। কিন্তু চিকিৎসক ওই সময় গাড়িতে ছিলেন না। গাড়িচালককে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হলেও তিনি ব্যর্থ হন। পুলিশ এরপর গাড়ির কাগজপত্র দেখতে চায়। গাড়ির কাগজপত্রে মালিক হিসেবে যার নাম উল্লেখ আছে, তার সঙ্গে ওই চিকিৎসকের নাম-ঠিকানা মেলেনি। ফলে গাড়িচালকের বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।