খবর ৭১: ‘সর্বাত্মক লকডাউন’র দ্বিতীয় দিন করোনায় আরও ৯৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০ হাজার ৮১ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ১৯২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এতে দেশে এখন পর্যন্ত মোট করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জনে।
করোনাভাইরাস নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এদিন সুস্থ হয়েছেন আরও ৫ হাজার ৯১৫ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯৭ হাজার ২১৪ জন।
এর আগে বুধবার (১৪ এপ্রিল) দেশে আরও ৫ হাজার ১৮৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া মারা যান দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৯৬ জন।
এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বে মারা গেছেন ১৩ হাজার ৫১৩ জন এবং নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৩ হাজার ১৯৪ জন। এ নিয়ে বিশ্বে মোট করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ লাখ ৮৩ হাজার ৯০১ জনের এবং আক্রান্ত হয়েছেন ১৩ কোটি ৮৮ লাখ ২০ হাজার ১৬৬ জন। এছাড়া সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ কোটি ১৬ লাখ ৫ হাজার ২২০ জন।
করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ও মৃত্যু হয়েছে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে। তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ৩ কোটি ২১ লাখ ৪৯ হাজার ২২৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ৭৮ হাজার ৯২ জনের।
আক্রান্ত ও মৃত্যুতে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা ভারতে এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন এক কোটি ৪০ লাখ ৭০ হাজার ৮৯০ জন এবং মারা গেছেন এক লাখ ৭৩ হাজার ১৫২ জন।
আক্রান্ত এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে থাকা ব্রাজিল এখন পর্যন্ত করোনায় এক কোটি ৩৬ লাখ ৭৭ হাজার ৫৬৪ জন সংক্রমিত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ১৮০ জনের।
আক্রান্তের দিক থেকে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৮৩৪ জন। ভাইরাসটিতে মারা গেছেন ৯৯ হাজার ৭৭৭ জন।
আক্রান্তের দিক থেকে রাশিয়া রয়েছে পঞ্চম স্থানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ৪৬ লাখ ৬৬ হাজার ২০৯ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন এক লাখ ৪ হাজার জন।
এদিকে আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ, তুরস্ক সপ্তম, ইতালি অষ্টম, স্পেন নবম এবং জার্মানি দশম স্থানে রয়েছে। এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ৩৩তম।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশসহ বিশ্বের ২১৮টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে কোভিড-১৯।