খবর ৭১: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশব্যাপী ৮ দিনের কঠোর লকডাউনের আজ (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় দিন। লকডাউন বাস্তবায়ন করতে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা লক্ষ্য করা গেছে।
রাজধানীর পথে পথে দেয়া হয়েছে ব্যারিকেড। জরুরি কাজে কেউ বের হলেও পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। প্রতিটি যানবাহনে চলছে তল্লাশি। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া যানবাহন ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে লকডাউনের এমন চিত্রই দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউনের প্রথম দিনের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে সাধারণ মানুষ, ব্যক্তিগত গাড়িসহ রিকশা চলাচল ছিলো চোখে পড়ার মতো।
নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ সকালে বেরিয়ে পড়েছেন তাদের কর্মের খোঁজে। পাশাপাশি জরুরি সেবায় নিয়োজিত বিভিন্ন শ্রেণির মানুষকে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশ্যে সড়কে চলাচল করতে দেখা গেছে। এক্ষেত্রে কিছু অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাদের নিজস্ব পরিবহনে অফিসে যাতায়াত করছেন। এছাড়া হেঁটে বা রিকশায় হাসপাতালে যেতে দেখা গেছে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীকে। যদিও অনেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়েছেন।
মতিঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়াসির আরাফাত খান বলছেন, অপ্রয়োজনে সাধারণ মানুষ ঘোরাঘুরি করছে কিনা তা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। সড়কে রিকশা ছাড়া কোনো গণপরিবহন বা ব্যক্তিগত পরিবহন চলছে না। তবে পণ্যবাহী ট্রাক-পিকআপ চলাচল করছে। একইসঙ্গে জরুরি সেবার কাজে নিয়োজিত ছোটখাটো মাইক্রোবাস প্রাইভেটকার চলাচল করতে দেওয়া হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বুধবার থেকে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ ঘোষণা করে সরকার। বুধবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাতদিন এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। তবে গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।