এ.এস.লিমন: ঘরে ঘরে জান্নাতি পরিবেশে শুরু হোক মুমিনের পবিত্র মাহে রমজান। মঙ্গলবার ( ১৩এপ্রিল ) পবিত্র রমজানের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার থেকে রোজা শুরু হবে ইনশাআল্লাহ। যদিও মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে রাজারহাট উপজেলাবাসী উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় সময় অতিবাহিত করছে। তারপরও সকল মুসলিম উম্মাহ রমজানকে স্বাগত জানানোর জন্য অধির আগ্রহের অপেক্ষায়।
অধির আগ্রহে অপেক্ষা করছেন মুমিন মুসলমান এ মাসে রহমত বরকত মাগফেরাত ও নাজাত লাভে। আল্লাহ তাআলার একান্ত সন্তুষ্টি ও সান্নিধ্য পাওয়ার মাস রমজান। রমজান সিয়াম সাধনার মাস। সব গোনাহ থেকে মুক্তি পাওয়ার মাস রমজান।
রমজানের বিশেষ ইবাদত তারাবিহ পড়বে মুমিন। রমজানের শুরু থেকেই আমরা তার অফুরন্ত রহমত লাভে ধন্য হওয়ায় মনোযোগী হবো। তার রহমতে নিজেদের জড়িয়ে নেয়ার প্রার্থনা করবো।
রমজান মাসেই মুমিন মুত্তাকির আধ্যাত্মিক বাগানে ফুটবে শেষ-বসন্তের ফুল। জান্নাতি পরিবেশে প্রত্যেক মুমিন-মুত্তাকির বান্দার হৃদয় হয়ে উঠবে আলোকিত। আল্লাহর রহমতের বারিধারায় সিক্ত হবে মুমিনের অন্তর। রহমতের সুধা পান করে তৃষ্ণা মেটাবে মুমিন।
রমজান লাভে রজব-শাবানের দোয়া ও আল্লাহর রহমতে যেহেতু এ পবিত্র মাসটি আমরা পেয়েছি, তাই রমজানের ঘোষিত ফজিলত ও মর্যাদা লাভে সৌভাগ্যবান হওয়ার চেষ্টা করি। এ কথা ভেবে মহান আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি যে, এমন অনেকেই রমজানের অপেক্ষা ও আশায় ছিল যারা আজ বেঁচে নেই। চলে গেছেন না ফেরার দেশে। ওপারের জীবনের সুন্দর ভুবনে। আল্লাহ তাদের কবরে রমজানের জান্নাতি পরিবেশ তৈরি করে দিন।
তারপরও আমাদের অনেকেই এমন আছেন, যারা রমজানের এ রহমতের সময়ও ইবাদত-বন্দেগি থেকে গাফেল। অন্যান্য মাসের মতই এই পবিত্র মাসটিকে হেলায় কাটিয়ে দেয়। এ ভুলটি যেন আর না হয়। আপনারাদের জন্য দোয়া রইল এবং আমার জন্য দোয়া করবেন
রাহমানুর রাহিম, হে আল্লাহ! কুরআন নাজিলের এ মাসকে আমাদের জন্য কুরআনের আলোয় আলোকিত করে দিন। গোটা বিশ্বকে মহামারি করোনাসহ সব বালা-মুসিবত থেকে মুক্তি দিন। আমিন।