বাগেরহাট প্রতিনিধি:
বাগেরহাটে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগে মোঃ সোহরাব হোসেন (৪৮) ও মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)(৩৯) নামের দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের পূর্বক সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।এর আগে রবিবার (১১ এপ্রিল) বাগেরহাট শহরের খারদ্বার মসজিদ এলাকা থেকে এদেরকে আটক করে বাগেরহাট জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।তবে গতকাল রাত পর্যন্ত পুলিশ আটকের বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।
গ্রেফতার মোঃ সোহরাব হোসেন বাগেরহাট শহরের খারদ্বার এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে এবং মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)একই এলাকার আনোয়ার হোসেন তালুকদারের ছেলে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়, ১০ এপ্রিল শরণখোলা থেকে দুঃসম্পর্কের ভাইজি সনিয়া খাতুনকে মোটরসাইকেলে নিয়ে বাগেরহাট শহরে আসেন শরণখোলার উপজেলার ছৈলাবুনিয়া এলাকার দর্জি দোকানদার মোঃ ইউসুফ আকন।মমতাজ হোটেলের সামনে দাড়ানো অবস্থায় মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ মাসুদ রানা (ভুট্টো)ও মোঃ বাবুল খান নামের তিন ব্যক্তি ডিবি পরিচয়ে তাদেরকে ইজিবাইকে তুলে দশানী নিয়ে যায়। সেখানে তাদেরকে আটকে রেখে আসামীরা বিকাশের মাধ্যমে ২১ হাজার টাকা গ্রহন করেন।পরে আরও টাকা দাবি করে মোঃ ইউসুফ আকনের কাছে।ইউসুফ আকন তার ভাইয়ের কাছ থেকে নিজ বিকাশ এ্যাকাউন্টে আরও ১০ হাজার টাকা আনেন। কিন্তু ইউসুফ আকনের মুঠোফোন থেকে টাকা ক্যাশ করা সম্ভব নয় বলে জানান বিকাশ ব্যবসায়ীরা।এসময় আসামীরা ইউসুফ আকনকে চরথাপ্পর মারে। ইউসুফের সাথে থাকা মেয়েটিকে ছেড়ে দেয়।সিম ফেলে দিয়ে ইউসুফের মুঠোফোন নিয়ে যায় তারা।ইউসুফকে ছেড়ে দেয়।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর শাফিন মাহমুদ বলেন, ডিবি পরিচয়ে চাঁদাবাজীর অভিযোগ তিনজনের নাম উল্লেখ করে ইউসুফ আকন নামের এক ব্যক্তি অভিযোগ করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা দুই জনকে আটক করেছি। নিয়মিত মামলা হয়েছে।আটকদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহার নামীয় ৩নং আসামী মোঃ বাবুল খানকে গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বাগেরহাটে অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ অনুমোদিত ক্যাবল অপারেটররা
বাগেরহাটের ফকিরহাটে অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীদের কার্যক্রমে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন সরকার অনুমোদিত ক্যাবল অপারেটররা।এমনকি অবৈধ ডিস ব্যবসায়ীরা রাতের অন্ধকারে মূল ক্যাবল মালিকদের সংযোগের তার কেটে নিয়ে যাচ্ছেন।সোমবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ফকিরহাট উপজেলা ক্যাবল অপারেটর নামে ক্যাবল অপারেটরদের একটি সংগঠন এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্যাবল ব্যবসায়ী অসীম মন্ডল। তিনি বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনের অনুমোদন নিয়ে আমরা ব্যবসা করছি। কিন্তু ফকিরহাট উপজেলার ডহর মৌভোগ গ্রামের নিরাপদ বৈরাগী, ফলতিতা এলাকার শুভংকর বিশ্বাস, গোয়ালবাড়ী এলাকার বিশ্বজিৎ বিশ্বাস, ফকিরহাট সদরের রেজাউল ও জুয়েল কোন অনুমোদন ছাড়াই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিস ক্যাবল ব্যবসা করছেন। তারা কোন সরকারি অনুমোদন নেয়নি। তাদেরকে একাধিকবার নিষেধ করা হলেও তারা তাদের এই অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করেননি। বরং বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের সংযোগের তার কেটে ফেলছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ২০১৯ এবং ২০২০ সালে বিটিভি থেকে জেলা প্রশাসনকে দুইবার চিঠি দেওয়া হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি।এই অবস্থায় অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উর্দ্ধোতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে জনতার বাগেরহাট ভিশনের চেয়ারম্যান শেখ লেনিন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক লায়েকুজ্জামান বাপ্পি, অর্থ সম্পাদক শেখ মাসুম, টেকনিক্যাল পরিচালক দেবু সাহা, ফকিরহাট উপজেলার শানু ডিস ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী সবুজ রায়, ডহোর মৌভাগ ডিস ক্যাবল নেটওয়ার্কের স্বত্বাধীকারী সোহাগ মন্ডল, ফকিরহাট ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী একলাসুর রহমান, শান্তিগঞ্জ ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী কাজী তৈয়বুর রহমান, ও মন্ডল ক্যাবল ভিশনের স্বত্বাধীকারী অসীম মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।