রাকিব হাসান পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ ইলিশের অভয়াশ্রম আন্ধারমানিক নদীর দখল-দূষণ কোন কিছুতেই থামছে না। প্রশাসনের ঢিলেমির কারনে সুযোগ পেলেই আন্ধারমানিক নদীর জোয়ারের প্লাবনভূমিসহ তীর দখল করে তোলা হচ্ছে স্থাপনা। ভূমি প্রশসন মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট করে বিভিন্ন ধরনের দন্ড দিলেও দখলদাররা তাদের দখল দৌরাত্ম্য বন্ধ করছেনা। সরেজমিনে দেখা গেছে, কলাপাড়া পৌরসভার এলাকায় সবচেয়ে বেশি দখল দৌরাত্ম্য চলছে। আন্ধারমানিক নদীতীর দখল করে কেউ স্থাপনা তুলছে। কেউ গাইড ওয়াল করে দখলদারিত্ব চালাচ্ছেন। আর দূষণ তো নিত্য ঘটনা। বাজারের দোকানি থেকে শুরু করে খোদ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ পর্যন্ত আন্ধারমানিক নদীতে বর্জ্য ফেলছে। পৌরসভা যদিও নাচনাপাড়া এলাকায় একটি ডাম্পিং এলাকা করার চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমানে আন্ধারমানিক নদীতীরের জোয়ারের প্লাবন জমিতে নজর পড়েছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের। নদীর দক্ষিণ তীরে এমন অবস্থা দেখা গেছে। ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ নদীটি সাগরের সঙ্গে মিলেছে। সাগর থেকে উঠে অপর প্রান্ত রাবনাবাদ নদীর সঙ্গে মিশেছে। এনদীটি রক্ষা না হলে নদীকেন্দ্রীক জীবন-জীবীকা, নদী কেন্দ্রীক সভ্যতা সব নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা এই নদীটি রক্ষায় বহুদফা মানববন্ধন সমাবেশ করেছেন। কিন্তু দখল দৌরাত্ম্য কিছুতেই থামছেনা। পরিবেশ কর্মীরা নদী তীরের ইটভাঁটি অপসারনের দাবি তুলেছেন। এছাড়া নদীর জেগে ওঠা চরভূমি বনবিভাগের কাছে ন্যস্ত করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। যদিও বনবিভাগ জেগে ওঠা চরভূমিতে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির বনায়নের চারা রোপন করেছেন। কিন্তু দখলদারিত্বের কারনে খোদ নদীটির অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে। নদীর সঙ্গে রয়েছে দুই পাড়ে অসংখ্য স্লুইস সংযুক্ত খাল। এ নদীটি একারণে কৃষি কাজের জন্য খুবই গুরুত্ববহন করে আসছে। উপজেলা প্রশাসন এবং পানিউন্নয়ন বোর্ড ওই একই কথা বলছেন। তারা বহু আগেই নদীতীরের স্থাপনা অপসারনের একটি তালিকা জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছেন। উচ্ছেদ অভিযান যে কোন সময় শুরু করা হতে পারে।