আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টে কাজ করছে না ফাইজারের টিকা

0
246

খবর ৭১: বড় এক হতাশার কথা শুনিয়েছে ইসরাইলের তেল আবিব ইউনিভার্সিটি এবং সেখানকার সবেচেয় বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ক্লেলিট। তারা নতুন এক গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন করোনা ভাইরাসের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট বি.১.৩৫১ ফাইজার/বায়োএনটেকের টিকার কোডকে ভেঙে ফেলে। ফলে এই টিকা যারা নেননি তাদের তুলনায় যারা টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের হার আটগুণ বেশি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে আরো বলা হয়েছে, প্রায় ৪০০ মানুষের ওপর তারা ওই গবেষণা করেছে। এর ফল প্রকাশ করা হয়েছে শনিবার। এতে বলা হয়, করোনা পজেটিভ হওয়ার পর ফাইজারের টিকার একটি বা দুটি ডোজ নিয়েছেন এমন ৪০০ ব্যক্তির বিপরীতে টিকা নেননি এমন ৪০০ ব্যক্তির ওপর ওই গবেষণা করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, গবেষণায় অংশ নিয়েছেন এমন সব ব্যক্তির মধ্যে শতকরা প্রায় ১ ভাগের শরীরে রয়েছে বি.১.৩৫১ নামের দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট।
কিন্তু রিপোর্টে বলা হয়েছে, যারা টিকার একটি বা দুটি ডোজ নিয়েছেন তাদের মধ্যে এই ভাইরাস সংক্রমণের শতকরা হার ৫.৪ ভাগ। অন্যদিকে যারা টিকা নেননি তাদের মধ্যে এই সংক্রমণের হার শতকরা ০.৭ ভাগ। অর্থাৎ টিকা নেয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ হার আটগুন বেশি। এর ফলে গবেষকরা বলেছেন, এ থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে কম কার্যকর এই টিকা। সাধারণ মাত্রার করোনা ভাইরাস যে হারে বিস্তার লাভ করে, টিকা নেয়ার পর তা আটগুন বেড়ে যায়। এ বিষয়ে তেল আবিব ইউনিভার্সিটির আদি স্টার্ন বলেন, যারা দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন তাদের মধ্যে অসামঞ্জস্যভাবে উচ্চহারে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট দেখতে পেয়েছি আমরা। তবে যারা টিকা নেননি, তাদের মধ্যে এই সংক্রমণ হার অনেক কম। এর অর্থ হলো করোনার টিকায় দেয়া নিরাপত্তাকে ভেঙে ফেলতে সক্ষম দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট। গবেষকরা বলেছেন, ইসরাইলে সংক্রমণের হার কম হওয়ার কারণে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ পরীক্ষা করার জন্য তারা ক্ষুদ্র আকারে নমুনা নিয়েছিলেন গবেষণায়। তারা সতর্কতায় বলেছেন, সব টিকার কার্যকারিতাকে খাটো করে দেখার উদ্দেশে তাদের গবেষণা নয়। গবেষণার এ বিষয়ে ফাইজার বা বায়োএনটেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে সফলতা পাওয়া যায়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here