বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটে সদর উপজেলার ডেমা গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্র করে ইউপি সদস্য প্রার্থী সজিব তরফদার ও তার সমর্থকদের উপর হামলার ঘটনায় আদালতে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও সুষ্ঠ বিচার করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য প্রার্থী সজিব তরফদারের গুলিবিদ্ধ বৃদ্ধ মা ছকিনা বেগম বুলু। তিনি ১৬ দিন চিকিৎসাধীণ থাকার পরে সন্তানদের বাঁচাতে শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
তিনি বলেন, ১৮ মার্চ রাতে আমার ছেলে ইউপি সদস্য প্রার্থী সজিব তরফদার ও তার সমর্থকরা ডেমা গ্রামের আমাদের বাড়ির পশ্চিম পাশে নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এসময় পূর্ব শত্রুতার জেরে ডেমা ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন তরফদার ও তার ছেলে মহিবুল হাসান মিন্টুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী আমার ছেলেদের উপর গুলি বর্ষণ শুরু করে। এসময় আমার ছেলেকে রক্ষা করতে এলে তাদের ছোড়া গুলিতে আমিও আহত হই। এসময় আমার ছেলের নির্বাচনী সমর্থকসহ ১০-১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের বন্দুক জব্দ করে এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন তরফদারসহ চারজনকে আটক করে। পরে জেল হাজতে প্রেরণ করে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহন করি। এরই মধ্যে নিজেদের অপরাধ আড়াল করার জন্য মকবুল হোসেনের নিকট আত্মীয় বনি আমিনের স্ত্রী নুরুন নাহার বেগম আমার তিন ছেলে, ও ভাসুরের তিন ছেলেসহ মোট ১১জনকে আসামী করে আদালতে একটি ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলে তরফদার মকবুল হোসেন ভূমি দস্যুতা থেকে শুরু করে এমনকোন অন্যায় নেই যা তিনি করেননি। এলাকার মানুষের ধানের জমিতে জোরপূর্বক ঘের করেছেন। কোনদিন হাড়ির টাকা দেননি তিনি। সেসব অন্যায়ের বহিপ্রকাশ ঘটেছে এই হামলার ঘটনায়। এছাড়াও ১৯৭১ সালেও তিনি হিন্দুদের বাড়ি ঘরে লুটপাট ও নারীদের সম্ভ্রমহানীরমত অপরাধ করেছিলেন। আমরা সঠিক তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন ও আমাদের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ছকিনা বেগম বুলুর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভাসুরের ছেলে ইয়াছিন তরফদার। এসময় ইউপি সদস্য প্রার্থী সজিব তরফদারের স্ত্রী নাঈমা বেগম, চাচী ইসমত আরা, ডেমা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মল্লিক আব্দুল আজিজসহ সাবেক চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন তরফদারের অত্যাচারে ক্ষতিগ্রস্থ অন্তত ১০জন উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত মনিরুজ্জামান লিটু বলেন, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মকবুল হোসেন তরফদার এলাকায় অনেক মানুষকে অত্যাচার করেছেন। তার ঘেরের মধ্যে আমার ১০ কাঠা জমি রয়েছে। দীর্ঘদিন তিনি আমাকে কোন হাড়ির টাকা দেননা। আমি হাড়ির টাকা চাইতে গেলে, তার ছেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকীও দেয়।