খবর৭১ঃ দেশে করোনা মহামারি সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর পর এপ্রিলের ১০ দিনে তার আগের এক মাসের প্রায় সমান রোগীর মৃত্যু ও শনাক্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করোনায় মারা গেছেন ৬৩৮ জন। আর ১ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল পর্যন্ত মারা গেছেন ৬১৫ জন।
এছাড়া, মার্চ মাসে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৬৪ হাজার ৪৯৪ জনের। আর এপ্রিলের ১০ দিনেই শনাক্ত হয়েছেন ৬১ হাজার ১৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ১৩ তম সপ্তাহ (২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল) থেকে তার পরের সপ্তাহে মৃত্যুর হার বেড়েছে ৩০ দশমিক ২৩ শতাংশ। নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, নতুন রোগী শনাক্ত বেড়েছে ২৬ দশমিক ৪৮ শতাংশ এবং রোগী সুস্থতা বেড়েছে ৪২ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এরপর ধারাবাহিকভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছিল। গত বছরের ৩০ জুন দিনে মৃতের সংখ্যা ৬৪ জনে ওঠে, যা ছিল ওই বছরের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
এরপর ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমতে থাকে, নভেম্বর ডিসেম্বরে মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও জানুয়ারি থেকে তা কমতে কমতে মার্চের শুরুতে তা ৫ জনেও নেমে এসেছিল।
কিন্তু এরপর আবার বাড়তে থাকে সংক্রমণ, সেই সঙ্গে মৃত্যুও। কয়েকদিনের মধ্যেই দৈনিক মৃত্যু ৫০ ছাড়িয়ে যায়।
১ এপ্রিল ৫৯ জনের মৃত্যুর খবর দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ৬ এপ্রিল আগের রেকর্ড ভেঙে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়। তারপর থেকে এই সংখ্যা ৬০ এর নিচে আর নামেনি। আজ ১০ এপ্রিল রেকর্ড ৭৭ জনের মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে শনাক্ত ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৯৩৭ এবং মৃত্যু ৯ হাজার ৬৬১ জন। আর এখন পর্যন্ত সুস্থ পাঁচ লাখ ৭২ হাজার ৩৭৮ জন। অর্থাৎ দেশে বর্তমানে করোনা সক্রিয় রোগী আছেন এক লাখ ১৬ হাজার ২২০ জন।