খবর৭১ঃ
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার সরকার ভিন্ন পথে হাঁটছে এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জলবায়ুবিষয়ক দূত জন কেরি বলেছেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর জো বাইডেন প্রশাসন চাপ অব্যাহত রেখেছে।
শুক্রবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশে যে উদারতা দেখিয়েছে তার প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের জলবায়ুবিষয়ক দূত।
‘বাংলাদেশ হলো গ্রেটেস্ট হেলপিং হ্যান্ড। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার মধ্য দিয়ে বিশ্বের মধ্যে এক উজ্জ্বল মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।–বলেন তিনি।
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যুক্তরাষ্ট্র সবসময় কাজ করে যাবে এমন মন্তব্য করে দেশটির সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে বাংলাদেশের একার দায় নয়। বরং জাতিসংঘসহ সকল দেশকে এই দায় নিতে হবে।
জন কেরি বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে মিয়ানমার সরকার ভিন্ন পথে হাঁটছে। রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব শুধু বাংলাদেশের নয়। আর এই ইস্যুতে মিয়ানমারের ওপর জো বাইডেন প্রশাসন চাপ অব্যাহত রেখেছে।’
ঢাকা সফরের কথা তুলে ধরে জন কেরি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসন্ন জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানাতেই আমার আজকের এ সফর। বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে বাইডেন প্রশাসন জলবায়ুবিষয়ক প্যারিস চুক্তিতে আবার যোগদান করেছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আমাদের একটি বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ে তুলতে হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাইডেন প্রশাসন জলবায়ু বিষয়ে যে সম্মেলনের আহ্বান করেছে তার মূল উদ্দেশ্য, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে সবুজ পৃথিবী প্রতিষ্ঠা করা। বাংলাদেশ জলবায়ুজনিতে কারণে ক্ষতিগ্রস্ত একটি দেশ। আসন্ন সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দেওয়ার উৎসাহ প্রকাশ করায় আমরা আনন্দিত। আমরা বিশ্বাস করি, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করে বাসযোগ্য পৃথিবী নিশ্চিত করা যাবে।
যৌথ সংবাদ সম্মেলনের আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেন জন কেরি। এ সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলারসহ দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ভারতের দিল্লি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান জন কেরি। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এসময় সঙ্গে ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।
আগামী ২২ ও ২৩ এপ্রিল দুই দিনব্যাপী জলবায়ু সংকট বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিশ্বের ৪০ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানকে এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।