কোনো বাসেই নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার

0
230

খবর৭১ঃ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে যান ও জন চলাচলে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে তার অনেকখানি উপেক্ষিত হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশের যাত্রী পরিবহনে।

সরকারঘোষিত সাত দিনের নিষেধাজ্ঞার তৃতীয় দিনে রাজধানীসহ সিটি করোপরেশন এলাকাগুলোতে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গণপরিবহ চলাচরের অনুমতি দিয়েছে। তবে বাংলাদেশে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ স্বাস্থ্যবিধি মানতে যে নির্দেনা দিয়েছে, তা মানছে না পরিবহন মালিকরা।

পরিবহনগুলোতে পর্যাপ্ত স্যানটাইজ ব্যবস্থা থাকার বাধ্যবাধকতা থাকলেও কোনো বাসেই মানছে না সেই নির্দেশনা। এমনকি গাড়ি প্রতিবার ছেড়ে আসার আগে পরিচ্ছন্ন করার কথা থাকলেও তা করছে না বাস মালিকরা।

সায়েদাবাদ থেকে ছেড়ে আসা তুরাগ পরিবহনের মহসিন নামের হেল্পারে কাছে বাসে হ্যান্ড স্যানিটাইজার আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‌মালিক গাড়িই ঠিক করে না। আবার হ্যান্ডওয়াশ দিবো! এমনেই বলে টাকা চুরি করি। হ্যান্ডওয়াশ চাইলে তো মাইর দিবো।

প্রতিবার গাড়ি ছাড়ার আগে গাড়ি পরিষ্কার করা হয় কিনা এমন প্রশ্নেও অবাক মহসিন। বলেন, লোকাল বাস পনেরো দিনেও ধোয়া হয় না, আবার প্রতিবার পরিষ্কার করবো! খোরাকি দিতেই মালিক কত বক্কর চক্কর করে, আবার টাকা দিয়া গাড়ি পরিষ্কার করবো।

একইভাবে পোস্তগলা থেকে মুগদা, বাসাবো, খিলাগাও, বাড্ডা হয়ে ছেড়ে আসা রাইদা, অনাবিল বা ছালছাবিল কোনো বাসেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার ব্যবস্থা দেখা যায়নি। এমনকি গাড়ির চালক, কন্ডাক্টরের কিংবা হেল্পারে পরনে মাস্কও দেখা যায়নি। আবার যারা মাস্ক পরেছেন তাদের মাস্ক নোংরা।

মুখে মাস্ক না থাকার কারণ জানতে চাইলে রাইদা পরিবহনের এক কন্ডাক্টর বলেন, ভাই শত শত মানুষ ওঠে বাসে, মুখে এক টুকরা কাপড় দিয়া কি করোনা থেইকা বাঁচা যাইবো? এই কারণে আর মাস্ক পরি না।

তবে সরকার স্বাস্থ্যবিধি মানতে পূর্ব ঘোষিত ১৮ দফা নির্দেশনা বহাল আছে। সেই সঙ্গে ঘোষণা আসার আগ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে দেশের আন্তঃজেলা বাস চলাচল ও রেল যোযাযোগ। এই নির্দেশনায় গণপরিবহন চলাচলে যে নিয়ম বেধে দেয়া হয়েছে সেসব দেখার যেন কেউ নেই।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here