খবর৭১ঃ
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে মালবাহী জাহাজের ধাক্কায় ‘সাবিত আল হাসান’ নামে মুন্সীগঞ্জগামী লঞ্চ ডুবির ঘটনায় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
এছাড়া ওই দুর্ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ বহন ও দাফন কাজের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পরিচালক (নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক) মো. রফিকুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রধান করে একটি কমিটি করা হয়। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে বিআইডব্লিউটিএ, পুলিশ ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে নিয়ে ৭ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরও বলেন, নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে লাশ বহন ও দাফন কাজের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নগদ ২৫ হাজার টাকা করে দেয়া হচ্ছে।
রবিবার সন্ধ্যায় ‘সাবিত আল হাসান’ নামের একতলা লঞ্চটি শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিক থেকে আসা অপর একটি মালবাহী জাহাজ লঞ্চটিকে ধাক্কা দিলে মুহূর্তের মধ্যে লঞ্চটি ডুবে যায়। ডুবে যাওয়া লঞ্চ থেকে পাঁচ নারীর লাশ উদ্ধার করা হলেও এখন পর্যন্ত ২১ জন নিখোঁজ রয়েছে।
জেলা প্রশাসকের দেয়া হিসাব অনুযায়ী কমপক্ষে ২১ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। তারা বেঁচে আছেন কিনা, বা কোনোভাবে পারে উঠেছেন কিনা তা কেউ বলতে পারছে না। তবে অনেকের ধারণা, যদি প্রাণে বাঁচতে না পারেন তাহলে ওই সময়ে প্রচণ্ড ঝড় থাকায় মৃতদেহগুলো নদীর এই এলাকায় না থেকে অন্যদিকে ভেসে যেতে পারে। আবার লঞ্চের ভেতরে আটকে থাকতে পারে। নদীর পারে দাঁড়িয়ে উদ্ধার অভিযান দেখছেন নিহতদের স্বজনসহ স্থানীয় মানুষ।