খবর৭১ঃ ঝিঙে বললেই আমাদের মনে পড়ে ঝিঙেফুল। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের লেখা একটি কাব্যগ্রন্থ। আর মনে পড়ে ঝিঙে-পোস্তর কথা। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে ঝিঙে শুনলেই অনেকে নাক সিঁটকান। কিন্তু এই তীব্র গরমে ঝিঙের ঝোলের মতো উপকারী খাবার কিন্তু আর হয় না।
পোস্ত ছাড়া ছোট মাছ দিয়ে ঝিঙের ঝোল খুব উপাদেয়। ঝিঙে-চিংড়ি বা ঝিঙের ভর্তার কথাও অনেকে বলেন। সব মিলিয়ে ঝিঙেকে কিন্তু খাদ্যতালিকায় জায়গা দিতেই হবে। তবে তা শুধু মুখের স্বাদের জন্য নয়, বরং শরীরের কথা ভেবেই।
আমরা ঘরোয়াভাবেই জানি, ঝিঙেতে প্রচুর পরিমাণে পানি রয়েছে। ফলে গরমের দিনে এই সবজি আমাদের শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পানির জোগান দেয়। এছাড়া পুষ্টিবিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ঝিঙেতে খুব কম ক্যালোরি থাকে। ফলে এই সবজিটি ওজন কমায় এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
ঝিঙে সুগার কমায়, রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য ঝিঙে খুবই উপকারী। পুষ্টিবিদরা আরও বলছেন, ঝিঙে রক্তের দূষণ নষ্ট করে। লিভারের জন্যও উপকারী ঝিঙে। জন্ডিসে তাই আদর্শ পথ্য হতে পারে সবজিটি।
ঝিঙে ফাইবারে ভরপুর। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। পাকস্থলীর কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে খাবার হজম করতেও সাহায্য করে। রূপবিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ঝিঙে প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিকে ভরা। নিয়মিত ঝিঙে খেলে ত্বক ভালো থাকে। শরীরের ইমিউনিটিও বাড়ায়।