খবর৭১ঃ রমজান উপলক্ষে সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়েছে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। টিসিবি গত ১৭ মার্চ থেকে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাজারে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ৯০ টাকা দরে বিক্রি করলেও বৃহস্পতিবার থেকে প্রতি লিটার ১০০ টাকায় বিক্রি করবে। এ নিয়ে জানুয়ারির পর সয়াবিন তেলের দাম দুই দফায় লিটারে ২০ টাকা বাড়াল টিসিবি।
এছাড়া রাজধানীসহ সারা দেশে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবি ছয় পণ্য বিক্রি করবে। পণ্যগুলো হচ্ছে- ছোলা, চিনি, মশুর ডাল, সয়াবিন তেল, পেঁয়াজ ও খেজুর। সারা দেশে ৫০০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে এসব পণ্য বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি শুরু হয়ে চলবে ৬ মে পর্যন্ত।
বুধবার টিসিবির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে এবার টিসিবির পণ্য বিক্রিতে রমজানের আঁচ পড়েছে। বাড়ানো হয়েছে দাম। প্রতি কেজি চিনি ও পেঁয়াজের দাম ৫০ ও ১৫ টাকা থাকলেও বৃহস্পতিবার থেকে বিক্রি হবে ৫৫ ও ২০ টাকা।
দাম বাড়ার বিষয়ে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ুন কবির বলেন, মাঝে মাঝে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেনা মূল্যের দিকে তাকিয়ে পণ্যের দাম বিক্রিতে সমন্বয় করতে হয়। এবার সেটাই করা হয়েছে। তাই বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বিক্রিত কয়েকটি পণ্যের দাম কেজি ও লিটারে ৫-১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাই রমজান উপলক্ষে নতুন করে পণ্যের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে টিসিবির।
টিসিবি সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার থেকে ট্রাকসেলে একজন ক্রেতা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ ৪ কেজি চিনি কিনতে পারবেন। পাশাপাশি ৫৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মসুর ডাল, প্রতি লিটার ১০০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ৫ লিটার সয়াবিন তেল এবং ২০ টাকা দরে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। এছাড়া রমজান উপলক্ষে ২-৩ কেজি ছোলা ৫৫ টাকা দরে এবং এক কেজি খেজুর ৮০ টাকা দরে পাবেন।
এদিকে করোনাকালে সব ধরনের মানুষের আয় কমেছে। এর মধ্যে বাজারে বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। তাই সরকারি সংস্থা টিসিবির ভ্রাম্যমাণ ট্রাক থেকে বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য কিনতে সাধারণ মানুষের ভিড় বাড়ছে। গত কয়েক দিনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বেড়েছে। আর সেখানে মানুষের দীর্ঘ লাইন লক্ষ্য করা গেছে। তাছাড়া এ বছর নিত্যপণ্যের দাম বাড়তি থাকার কারণে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম বাড়িয়েছে টিসিবি। রমজানে যেসব পণ্যের বেশি চাহিদা থাকে, সেগুলোর ১০ থেকে ১২ শতাংশ টিসিবির মজুতে রয়েছে।
রমজান উপলক্ষে সংস্থাটি সাশ্রয়ী মূল্যে ২৬ হাজার ৫০০ টন ভোজ্যতেল, ১৮ হাজার টন চিনি, ১২ হাজার টন মসুর ডাল, ৮ হাজার টন ছোলা, ৬ হাজার টন পেঁয়াজ বিক্রি করবে বলে জানা গেছে।