খবর ৭১: দোকানে তো কতই হালুয়া কিনতে পাওয়া যায়। কিন্তু ঘরে তৈরি হালুয়ার স্বাদ অন্যরকম। ঘরে তৈরি হালুয়া খেতে কে না পছন্দ করেন? শবে বরাতের দিন বাসায় হালুয়া বানান অনেকে। হালুয়ার ভিন্ন স্বাদ আনা হচ্ছে নতুন রেসিপি দিয়ে। তবে চিরায়ত রেসিপির কদরও কমেনি এখনো।
এমনই কয়েকটি হালুয়া রেসিপি দেওয়া হলো:
১. বুটের ডালের হালুয়া
প্রয়োজনীয় উপকরণ: হাফ কেজি বুটের ডাল, ১ কাপ ঘন দুধ (ভালো করে জ্বাল দিয়ে ২ কাপকে ১ কাপ বানানো) পরিমাণ মতো এলাচ, দারুচিনি, পাঁচটি তেজপাতা, পরিমাণ মতো ঘি, হাফ কাপ তেল, কিছু কিসমিস এবং চিনি।
প্রণালী: বুটের ডাল পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, ভালোমতো ভিজে গেলে একে সিদ্ধ করে নিন, সিদ্ধ বুটের ডাল বেটে বা ব্লেন্ড করে পেস্ট করে এক কাপ গরম ঘন দুধ দিয়ে মাখিয়ে নিন, এবার কড়ায়ে দুই চামচ ঘি এবং হাফ কাপ তেল গরম করে তাতে কয়েকটা এলাচ, দারুচিনি ও তেজপাতা দিন এবং তেল গরম হলে বুটের ডাল মাখানো দিয়ে দিন। এরপর ঠাণ্ডা হলে কেটে কেটে পরিবেশন করুন।
২. ছোলার ডালের হালুয়া:
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ছোলার ডাল হাফ কেজি, দুধ ১ লিটার, চিনি পরিমাণমত, ঘি এক কাপের চতুর্থাংশ, এলাচ, দারুচিনি, কিসমিস পরিমাণমত, পেস্তা বাদাম কুচি পরিমাণমত।
প্রণালী: প্রথমে শুকনো ছোলাকে অন্তত ঘণ্টা পাঁচেক ভিজিয়ে রাখতে হবে, এরপর ভালোভাবে ভিজে গেলে ভালোমত ধুয়ে দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে নিন। এরপর কড়াইয়ে নিয়ে এর সাথে ঘি এবং চিনি নিয়ে নাড়তে হবে। নাড়তে নাড়তে কিছুটা ঘন হলে এর সাথে এলাচ এবং দারুচিনির গুড়া যোগ করে শুকনো হওয়া পর্যন্ত নাড়তে হবে, এভাবে সম্পূর্ণ শুকিয়ে গেলেই হালুয়া হয়ে যাবে এবং ইচ্ছামত পরিবেশন করা যাবে। তবে এর সাথে কিসমিস এবং পেস্তাবাদাম কুচি যোগ করলে ভালো হয়।
৩. বাদামের হালুয়া:
প্রয়োজনীয় উপকরণ: কাজু বাদাম ২ কাপ, চিনি ২ কাপ, ছানা ২ কাপ, এলাচ গুড়া সিকি চা চামচ, ঘি আধা কাপ, ময়দা ১ টেবিল চামচ, কিসমিস ১ টেবিল চামচ, ঘি ও পেস্তা বাদাম সাজানোর জন্য।
প্রণালী: কাজু বাদাম হালকা ভেজে ৩-৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন, পানি থেকে তুলে কাজু বাদাম ব্লেন্ড করে নিন। এবার চুলায় পাত্রে ঘি দিয়ে কাজু বাদাম ও ছানা দিয়ে ভাজতে থাকুন এবং চিনি দিন। দ্রুত নাড়তে থাকুন, ময়দা ও এলাচ গুড়া দিন। এভাবে হয়ে গেলে প্লেটে সাজিয়ে কিসমিস, কাজু, পেস্তা দিয়ে পরিবেশন করুন।
৪. পেঁপের হালুয়া:
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ১ কাপ মাওয়া, কাঁচা পেঁপে সেদ্ধ করে বাটা ১ কাপ, চিনি ২ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, গোলাপজল, সবুজ রং প্রয়োজনমত, কিসমিস সাজানোর জন্য।
প্রণালী: পাত্রে পেঁপে, ছানা, মাওয়া, চিনি ও ঘি দিয়ে সাথে সবুজ রং দিয়ে কম আচে ভুনতে হবে। ভুনা হলে নামান। নামানোর আগে গোলাপজল ছড়িয়ে দিতে হবে। ছাঁচে দিয়ে সন্দেশ তৈরি করে কিসমিস দিয়ে পরিবেশন করুন।
৫. নারকেলের বরফি:
প্রয়োজনীয় উপকরণ: ২ টি নারকেল প্রথমে কুরিয়ে তারপর বেটে নিতে হবে, গুড়া দুধ ২০০ গ্রাম, এলাচ গুড়া ১ চা চামচ, চিনা বাদামের গুড়া ১ কাপ, চিনি আধা কেজি, ঘি ১০০ গ্রাম।
প্রণালী: প্রথমে একটি পাত্রে ঘি গরম করে এলাচের গুড়া, নারকেল বাটা, চিনি, বাদামের গুড়া এবং গুড়া দুধ দিয়ে একসাথে মাঝারি আছে নাড়তে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যেন নিচে পুড়ে না যায়। নাড়তে নাড়তে যখন আঠালো হবে তখন নামিয়ে ফেলুন। আগেই একটি ট্রেতে ঘি মেখে রাখুন, এরপর বরফি ঢেলে বাদাম কুচি করে দিয়ে পরিবেশন করুন।