খবর৭১ঃ জনগণের প্রতিবাদ-বিক্ষোভে দিশেহারা হয়ে মানুষ হত্যার মত হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকার পুরো দেশকে অশান্ত ও অস্থিতিশীল করে তুলেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। দেশ অস্থিতিশীল হওয়ার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকেই বহন করতে হবে বলে দাবি করেন তিনি।
রবিবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস থেকে শুরু করে গত দুই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন অঞ্চলে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ছাত্রলীগ-যুবলীগের গুলি, তাণ্ডবের মাধ্যমে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। আজও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গুলি করে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এই নৃশংসতা ও নির্মমতার বিরুদ্ধে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল বিক্ষোভ করায় তাদের ওপরও হামলা হয়েছে। বিএনপি নেত্রী নিপুণ রায় চৌধুরী ছাড়াও দেশের বিভিন্নস্থান থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের হামলায় অনেকে গুরুতর আহত হয়েছে।
বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘প্রতিবাদী মানুষের কন্ঠরোধ করতে দেশের মানুষের ওপর নির্বিচারে হামলা ও জীবন কেড়ে নিয়ে জনগণের প্রতি প্রতিশোধ নিচ্ছে সরকার। পরিস্থিতি শান্ত করার পরিবর্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে গুলি করার নির্দেশ দিয়ে এবং ক্ষমতাসীন দলের মাস্তানদের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে সরকার। করোনাকালে জনস্বাস্থ্য নিরাপত্তায় কাজ না করে মানুষের বুকে গুলি চালিয়ে রক্ত ঝরাতে উন্মাদ হয়ে উঠেছে তারা। কিন্তু এদেশের সাহসী জনতা অতীতেও যেমন সকল স্বৈরাচারকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করেছে, বর্তমান স্বৈরাচারী সরকারকেও তীব্র গণআন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে রাস্তায় নেমে এসেছে। জনগণের আন্দোলনের গণজোয়ারে অবৈধ সরকারের মসনদ অতলে তলিয়ে যাবে।
সোমবার বিএনপির ঘোষিত দেশব্যাপী সকল মহানগরীতে ও ৩০ মার্চ মঙ্গলবার সকল জেলা সদরে বিক্ষোভ/মিছিল সফল করতে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জনগণকে অংশ নেয়ার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।