মদন (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনার মদনে গণি হত্যার জের ধরে বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় বুধবার রাতে গাভীসহ বাছুর উদ্ধার করেছে মদন থানা পুলিশ। এ ব্যাপারে মুহাম্মদ আলীর বোন লায়লা আক্তার বাদী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করে দ্রুত আইনে মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এরই প্রেক্ষিতে ২৪ মার্চ বুধবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ আটপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বিল্লালের বাড়ি থেকে গাভীসহ বাছুর উদ্ধার করে মদন থানায় নিয়ে আসে।
গরুর মালিক চকপাড়ার আহম্মদ আলীর বোন বাদী লায়লা আক্তার জানান, গণি মারা যাওয়ার ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করে আমাদের বাড়ি ঘর ভাংচুর ও গরু ছাগলসহ ঘরের যাবতীয় মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায় প্রতিপক্ষ হাবিবুরের লোকজন। দেওয়ান বাজারে প্রতিপক্ষের রুবেল আমার ভাইয়ের গরু বাছুরটি ৬০ হাজার টাকায় আটপাড়া উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের বিল্লালের নিকট রশিদ মূলে বিক্রি করে দেয়। এ সংবাদ পুলিশকে জানালে গরু বাছুর উদ্ধার হয়।
মদন থানার ওসি ফেরদৌস আলম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গণি হত্যার জের ধরে লুটপাটের একটি গাভীসহ বাছুর আটপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে লায়লা আক্তার নামের এক মহিলা বাদী হয়ে দ্রুত আইনে থানায় মামলা দায়ের করলে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আসামী গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।