খবর৭১ঃ প্রায় ৫ ঘণ্টা পর খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়েছে।
বুধবার রাত ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ ও রেললাইন মেরামত শেষ হওয়ার পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।এর আগে বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় কুষ্টিয়ার পোড়াদহ জংশনে লাইনচ্যুত হয় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে দুর্ঘটনায় পড়া ট্রেনের দুটি বগি রেখে বাকি ট্রেন ঘুরিয়ে আনার সময় রেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন এক নারী। ৬০ বছর বয়সী ওই নারীর নাম সালেহা বেগম। তিনি মিরপুর উপজেলার খাল মাগুরা গ্রামের বাসিন্দা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক শাহীদুল ইসলাম।
তিনি জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে উদ্ধারকাজ ও রেললাইন মেরামত শেষ হওয়ার পর রেল চলাচল স্বাভাবিক হয়। বুধবার সন্ধ্যা ৬টায় কুষ্টিয়ার পোড়াদহ জংশনে লাইনচ্যুত হয় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস। এতে খুলনার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়।
শাহীদুল ইসলাম বলেন, উদ্ধারকারী ট্রেন রাত সাড়ে ১০টায় লাইনচ্যুত রেলের আটটি চাকাই লাইনের ওপর দাঁড় করাতে সক্ষম হয়।
রেলওয়ের ডিভিশনাল ম্যাকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার আশিষ কুমার মণ্ডল জানান, লাইনচ্যুত বগি ও তার পেছনের বগি ঈশ্বরদীতে নিয়ে যাওয়া হয়।
পোড়াদহ রেল থানার ওসি জসীম উদ্দিন জানান, বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে অবশিষ্ট ট্রেনটি হালসা থেকে ঘুরিয়ে আনার পথে রেলের ধাক্কায় নিহত হয়েছেন মাগুরা গ্রামের ওই নারী।
ওই নারীর সঙ্গে থাকা তার নাতনিও আহত হয়েছে। তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।