খবর৭১ঃ
স্বাস্থ্যকর তেল হিসেবে অলিভ ওয়েলকে সবার ওপরে রাখা হয়। চিকিৎসকরা এই তেল ব্যবহারের তাগিদ দেন। তবে সব ধরনের রান্নায় কি এই তেল ব্যবহারে উপকার মেলে?
অলিভ অয়েলের মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। কিন্তু অলিভ অয়েলের এই সব পুষ্টিগুণ নির্ভর করে তার ব্যবহারের উপর।
যারা ডায়েট করেন সবসময় তাদের অলিভ অয়েল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও চিকিৎসকরা সব সময় অলিভ অয়েল খাওয়ারই পরামর্শ দিয়ে। এর মধ্যে থাকে মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড। যা হার্টের জন্য খুব ভালো।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল শরীরের জন্য খুব ভালো। এছাড়াও এর মধ্যে আছে পলিফেলনস, স্কোয়ালেন, টারপেনিক ইত্যাদি। তবে অলিভ অয়েলের রান্না সব সময় কম আঁচে করতে হবে।
অনেকেই সরাসরি অলিভ অয়েল খান, সালাদে ব্যবহার করেন। এছাড়াও অনেক দেশের মানুষ সুস্থ থাকতে নিয়ম করে ১.৪ কাপ অলিভ অয়েল খান। তবে প্রতিদিন ৬০ এমএল এর বেশি অলিভ অয়েল খাওয়া একদমই কিন্তু ঠিক নয়।
এছাড়াও অলিভ অয়েলে রান্না করলে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন ভালো হয়। সেই সঙ্গে যারা ওজন কমাতে চাইছেন, যাদের পেটের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খুব ভালো। রান্নার ক্ষেত্রে অবশ্যই তাপমাত্রা নজরে রাখবেন।
রান্না করে খাওয়ার বদলে অলিভ অয়েল সরাসরি খেতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ তাপে এই তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এই তেলে একমাত্র সালো ফ্রাই ছাড়া আর কিছুই করা ঠিক নয়। সব রান্না এই তেলে করলে বরং উপকারের থেকে সমস্যা বেশি।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমানো ও ক্যান্সার প্রতিরোধের পাশাপাশি হার্টের রোগীদের জন্য অলিভ অয়েল খুবই উপকারী।
সম্প্রতি প্রকাশিত নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, দুর্বল হার্টের জন্য জ্বালানি হিসেবে প্রয়োজনীয় চর্বির জোগান দেয় অলিভ অয়েল। এক্সট্রা ভার্জিন অয়েলের সঙ্গে রোজমেরি পাতার সংমিশ্রণে বানানো এই উপাদান হৃদযন্ত্রের জন্য বেশ উপকারী। ছোট একটি কড়াইয়ে দেড় কাপ এক্সট্রা ভার্জিন অয়েল, ৮-১০টি শুকনা রোজমেরি পাতা, সামান্য সি সল্ট ও গোলমরিচ নিন। এরপর ভালো করে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে নিয়ে বোতলে রাখুন। এরপর সালাদ, স্যুপসহ অন্যান্য পছন্দের খাবারের সঙ্গে ব্যবহার করুন।
অলিভ অয়েল নাক ডাকা বন্ধ করতে সাহায্য করে থাকে। ঘুমাতে যাওয়ার আগে এক চুমুক অলিভ অয়েল খেয়ে নিন। এটি আপনার গলার পেশীকে পিচ্ছিল করে থাকে এবং নাক ডাকা বন্ধ করে দেয়।