খবর৭১ঃ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তারের পর নির্যাতনের অভিযোগ তোলা কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোরের ডান কানে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তার কানে অস্ত্রোপচার করা হয়। বেলা পৌনে দুইটায় অস্ত্রোপচার শেষে তাকে কেবিনে নেয়া হয়েছে।
কিশোরের ভাই আহসান কবির সাংবাদিকদের জানান, কিশোরের কানের পর্দায় গর্তের মতো হয়ে গেছে। এই কান দিয়ে শুনতে হলে ভেতরে বিশেষ ধরনের হিয়ারিং এইড বসাতে হবে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আজ সেটি বসানো হয়েছে। এর ছয় মাস পর চিকিৎসকেরা পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ৩০০ দিন কারাভোগের পর গত ৪ মার্চ কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান কিশোর। ১০ মার্চ আদালতে হাজির হয়ে হেফাজতে থাকাকালে নির্যাতনের শিকার হওয়ার বর্ণনা দেন তিনি।
কিশোর জানান, গত ৫ মে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হলেও ২ মে আনুমানিক পৌনে ৬টার সময় ১৬ থেকে ১৭ জন সাদা পোশাকধারী লোক তাকে কাকরাইলের বাসা থেকে জোর করে হাতকড়াসহ মুখোশ পরিয়ে অচেনা নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। করোনা নিয়ে তার আঁকা কিছু কার্টুন দেখিয়ে কেন এঁকেছে এবং কার্টুনের চরিত্রগুলো কারা প্রশ্ন করা হয়।
কিশোরের অভিযোগ, এক পর্যায়ে প্রচণ্ড জোরে তার কানে থাপ্পর মারে। কিছুক্ষণের জন্যে তিনি বোধশক্তিহীন হয়ে পড়েন। এরপর স্টিলের পাত বসানো লাঠি দিয়ে তার পায়ে পেটানো হয়। আদালতে তিনি বলেন, ‘বর্তমানে আমি শারীরিকভাবে অসুস্থ, কান দিয়ে পুঁজ পড়ে, হাঁটতে পারি না, হঠাৎ করে পড়ে যাই। এবং শরীরে আরও নানাবিধ রোগের উপসর্গ দেখা যাচ্ছে।’
প্রসঙ্গত, একই মামলার আসামি লেখক মুশতাক আহমদ গত ২৫ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি অবস্থায় মারা যান।