খবর৭১ঃ
গত এক বছরে দেশে ব্রেন স্ট্রোক বা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত মৃত্যু দ্বিগুণ হয়েছে। ব্রেন স্ট্রোকের পাশাপাশি আশঙ্কাজনকভাবে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বা হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুও বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) একটি জরিপে উঠে এসেছে এসব তথ্য।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবন মিলনায়তনে জরিপের ফল তুলে ধরেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ইয়ামিন চৌধুরী। এ সময় বিবিএসের মহাপরিচালক তাজুল ইসলামসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জরিপের বরাত দিয়ে জানানো হয়, ২০২০ সালে দেশে ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছেন ৮৫ হাজার ৩৬০ জন, যা ২০১৯ সালে ছিল ৪৫ হাজার ৫০২ জন।
আর হার্ট অ্যাটাকে গত বছরে এক লাখ ৮০ হাজার ৪০৮ জন মারা গেছেন। ২০১৯ সালে মারা গিয়েছিল এক লাখ ৪৭ হাজার ২৫৯ জন।
জরিপে জানানো হয়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর পাশাপাশি ২০২০ সালে করোনায় মারা গেছেন আট হাজার ২৪৮ জন। সব মিলিয়ে ২০২০ সালে সারাদেশে নানা রোগে আট লাখ ৫৪ হাজার ২৫২ জন মারা গেছেন।
২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে নানা রোগের কারণে মৃত্যু বেড়েছে ৩১ হাজার ৪১২ জনের। ২০১৯ সালে বিভিন্ন রোগে প্রাণ গেছে আট লাখ ২২ হাজার ৮৪১ জনের।
২০২০ সালে ৮৫ হাজার ৩৬০ জন ব্রেন স্ট্রোকে মারা গেছেন। ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ৪৫ হাজার ৫০২ জন।
বিবিএসের জরিপ অনুযায়ী, লিভার ক্যানসারেও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। গত বছর লিভার ক্যানসারে মারা গেছেন ২৯ হাজার ৮৫০ জন। ২০১৯ সালে এ রোগে মৃত্যু হয়েছিল ২১ হাজার ৩৭৪ জনের।
তবে অ্যাজমা বা হাঁপানি রোগে মৃত্যু কমেছে। ২০১৯ সালে সারাদেশে অ্যাজমায় প্রাণহানি হয়েছে ৩৮ হাজার ২৯০ জন। ২০২০ সালে তা কমে ৩২ হাজার ৭৫ জনে নেমে এসেছে।
আবার ব্লাড ক্যানসারে মৃত্যু বেড়েছে। ২০১৯ সালে ব্লাড ক্যানসারে ১৮ হাজার ৬২০ জন মানুষ মারা গেছেন। ২০২০ সালে সে সংখ্যা প্রায় তিন হাজার বেড়ে ২১ হাজার ৪৭১ জন হয়েছে।
তবে এইচআইভি বা এইডসে গত দুই বছরে দেশে কেউ মারা যায়নি।
২০১৯ সালে চিকুনগুনিয়ায় চার হাজার ৪৫৮ জনের মৃত্যু হয়। ২০২০ সালে তা কমে এসেছে। মারা গেছেন ৫২৪ জনে। কমেছে ম্যালেরিয়ায় মৃত্যু। ২০১৯ সালে ম্যালেরিয়ায় ২০ হাজার ৯৮ জন মারা গেছেন। ২০২০ সালে মারা গেছেন ৬৫৫ জন।