রোগ নির্ণয় করতে পারেনি চিকিৎসকরা
স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট: এক মাসেও সুস্থ হতে পারেনি কালের কণ্ঠ’র বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী! প্রতিনিয়ত নতুন নতুন উপসর্গ যুক্ত হচ্ছে তার শরীরে। দিনে দিনে আরো দুর্বল হয়ে পড়ছেন তিনি। প্রায় এক সপ্তাহ তাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (খুমেক) সিসিইউতে রেখে চিকিৎসা ও বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেও তাকে সুস্থ বা তার শরীরে কোনো নির্দিষ্ট রোগ নির্ণয় করতে পরেননি বিশেষজ্ঞ চিকিৎকরা। সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ খুলনা মেডিক্যালে থাকাকালীন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় তার চিকিৎসায় মনিটরিং করলেও এখন তাদের কোনো তৎপরতা আছে বলে মনে হচ্ছে না।তিনি বর্তমানে বাগেরহাট শহরের শালতলা এলাকার নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। দীর্ঘদিনেও সুস্থ না হওয়ায় দুঃশ্চিন্তায় পড়েছে তার পরিবার। বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির তার চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর রাখছেন বলে জানিয়েছেন সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী।
জানা গেছে, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী গত ৭ ফেব্রুয়ারি বাগেরহাট সদর হাসপাতালে করোনার টিকার প্রথম ডোজ গ্রহন করেন। এর পর থেকেই তার তীব্র জ্বর, শ্বাসকষ্ট, মাথা ও বুকে ব্যাথাসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এ অবস্থায় প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয় তাকে। এতে তিনি সুস্থ না হওয়ায় নেওয়া হয় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা বোর্ড বিভিন্ন ধরণের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তার রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। দিন দিন তার শারীরিক অবস্থা আরো অবনতির দিকে যাচ্ছে।
সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তী বলেন, বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা একমাস ধরে চিকিৎসার পাশাপাশি আমাকে নানান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়েছেন। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো রোগ নির্ণয় করতে পারেনি। দিন দিন নতুন উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছি আমি। পরিবারও আমাকে নিয়ে চিন্তিত।
বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. কে এম হুমায়ুন কবির বলেন, সাংবাদিক বিষ্ণু প্রসাদ চক্রবর্তীকে খুলনা মেডিক্যালে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনো রোগ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তার অনুরোধেই ২৪ ফেব্রুয়ারি খুমেক কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছে তাকে। বর্তমানে তিনি নিজ বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহন করছেন। স্বাস্থ্য বিভাগ, হু এবং ওষুধ প্রশাসনের প্রতিনিধিরা তার বাসায় গিয়ে চিকিৎসার সার্বিক খোঁজখবর নিয়েছেন। বর্তমানে স্বাস্থ্য বিভাগের তত্বাবধানেই তার চিকিৎসা চলছে।