খবর৭১ঃ ঠিক এক বছর আগে ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যু অনেকটা কমে এলেও বছর পূর্তির দিনে তা আবার বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরও ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর নতুন করে শনাক্ত হয়েছে ৮৪৫ জন। আগের কয়েক দিনের তুলনায় দুটি সংখ্যাই বেশি। এদিন বেড়েছে করোনা শনাক্তের হার এবং সুস্থতাও।
সোমবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
নতুন ১৪ জনসহ দেশে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট হাজার ৪৭৬ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে পাঁচ লাখ ৫১ হাজার ১৭৩ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ১১৭ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন পাঁচ লাখ চার হাজার ১২৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২১৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬ হাজার ৬৬০টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১৬ হাজার ৯৫৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৪১ লাখ ৬৩ হাজার ১৬৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯১ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
গত সাত দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন যথাক্রমে ১১, ১০, ৬, ৭, ৫, ৭ ও ৮ জন। আর এই সময়ে যথাক্রমে ৬০৬, ৫৪০, ৬৩৫, ৬১৯, ৬১৪, ৫১৫ ও ৫৮৫ জনের শরীরে ভাইরাসটির উপস্থিতি শনাক্ত হয়।
গত বছরের ৩০ জুন দেশে সর্বোচ্চ ৬৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপর ২৬ জুলাই ও ২৬ আগস্ট দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১৬ জুন করোনায় মারা যান ৫৩ জন।
গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। আজ সোমবার করোনা শনাক্তের এক বছর। গত প্রায় এক মাস ধরে দেশে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধ টিকার প্রয়োগ চলছে। কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যু ও শনাক্ত অনেকটা কমে এলেও গত কয়েক দিন ধরে অল্প অল্প করে বাড়ছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, করোনা দুই ডোজ টিকা প্রয়োগের আগ পর্যন্ত সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। এজন্য সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।