বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনলে আজও গায়ের লোম শিউরে ওঠে:শেখ আফিল উদ্দিন

0
264

শেখ কাজিম উদ্দিন, বেনাপোল : যশোর-১(শার্শা)’র এমপি আলহাজ শেখ আফিল উদ্দিন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালি জাতির মুক্তির মূলমন্ত্র। যে মন্ত্রে ছিল বাঙালি জাতিকে জাগ্রত করার গোলাবারুদ। সেই গোলাবারুদ বিস্ফোরিত হয়ে নিরস্ত্র বাঙালি জাতিকে মুক্তির লক্ষ্যে সশস্ত্র বাঙালিতে রূপান্তরিত করেছিল। স্বাধীনের চিন্তা-চেতনায় আগুনের লেলিহান শিখার মতো দাউ দাউ করে জ¦লতে থাকে বাংলার কৃষক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। তাইতো সেদিন পাকিস্তানি অত্যাচারি বাহিনীর বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল বাংলার আবাল-বৃদ্ধ-বণিতারা। বাঙালীর সেই দাবানলের সামনে টিকতে পারেনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী, জন্ম হয় স্বাধীন স্বার্বভৌম লাল সবুজের বাংলাদেশ। রবিবার বেলা ৩টার সময় বেনাপোল পোর্ট থানার বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন ও বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণে জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্তি হওয়ায় আনন্দ উদযাপন অনুষ্ঠানে শান্তির বেলুন উড়িয়ে এবং কেক কেটে অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন শেষে একথা বলেন তিনি।

বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত ৭ই মার্চের মে শেখ আফিল উদ্দিন এমপি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ শুনলে আজও গায়ের লোম শিউরে ওঠে। বিশ্বের ইতিহাসে কোনো নেতা এমন ভাষণ দিয়েছেন বলে তার কোন নজীর নেই। সেদিন বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছিলেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম”। “তোমাদের যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো, শত্রুর মোকাবিলা করতে হবে।” যে ভাষণের মধ্য দিয়েই মুক্তিযুদ্ধের সামগ্রিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। সেই ভাষণ ছিলো একটি অগ্নিমশাল। যেকারণে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ কেবল দেশের মানুষের হৃদয়ে কড়া নাড়েনি, জাতিসংঘে বিশ^ ঐতিহ্যের প্রামাণ্য দলিল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

এসময় সাংসদ শেখ আফিল উদ্দিন আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণের মনোবল নিয়ে দীর্ঘ এক যুগ ধরে জাতির জনকের কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস পরিশ্রম করে চলেছেন। যার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের উন্নত শিখরে এগিয়ে চলায় এলডিসি থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের জাতিসংঘের চুড়ান্ত সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান, শার্শা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল হক মঞ্জু, উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মীর আলীফ রেজা, সহকারি কর্মকর্তা (ভূমি) রাসনা শারমিন মিথি, বেনাপোল বন্দর পরিচালক মামুন কবির, বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ¦ বজলুর রহমান, শার্শা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য অহিদুজ্জামান, ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহিম সরদার প্রমুখ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বেনাপোল পোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আজিজুর রহমান, (তদন্ত) রাসেল সরোয়ার, উপ-পুলিশ পরিদর্শক মাসুম বিল্লাহ, রোকন উদ্দিন, রিয়েল, মফিজুর রহমানসহ পোর্ট থানা পুলিশের সকল কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here