স্টাফ রিপোটার, বাগেরহাট: নানা অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা ও সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয়ের প্রতিবাদে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলুর বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে চিংড়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন নারিকেল বাড়িয়া বাজারে চিংড়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও এলাকাবাসীর ব্যানারে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন, চিংড়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বেলায়েত হোসেন হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক অসীত কুমার মজুমদার, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার মন্ডল, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ হাওলাদার, ইউপি সদস্য মোঃ আক্কাস আলী হাওলাদার, শহিদুল ইসলাম, আক্তারুজ্জামান বাবলু, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহমান বক্স, চিংড়াখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম আবু হাসান, আওয়ামী লীগ নেতা কবির হাওলাদার, মাখনলাল রায়, স্থানীয় নিরজ্ঞন মিস্ত্রি, হেমায়েত শেখ, দুলালী মিস্ত্রি, চামেলী বেগম, অসীমা রানীসহ আরও অনেকে।
বক্তারা বলেন, আলী আক্কাস বুলু চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি, সরকারি অর্থ আত্মসাত করে আসছেন।এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের পৃষ্ঠপোষকতা করে আসছে। সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত টিআর, কাবিখা, এডিপি, এলজিএসপিসহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের টাকা আত্মসাতেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।৪০ দিনের কর্মসূচিতে অসহায় হতদরিদ্রদের দিয়ে কাজ করিয়ে টাকা দেননি তিনি। সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় বিভিন্ন সুবিধাভোগী নির্বাচনে বিপুল পরিমান টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন এই চেয়ারম্যান। আমরা এই চেয়ারম্যানের অপসারণ পূর্বক বিচার দাবি করছি। আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে এই দূর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার দাবি জানান আওয়ামী লীগের নেতারা।মানবন্ধনে পাঁচ শতাধিক এলাকাবাসী অংশগ্রহন করেন।
এর আগে জরুরীসভা ডেকে চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলুকে দুর্নীতিবাজ ও গরীবের অর্থ আত্মসাৎকারী আক্ষা দিয়ে দলীয় মনোনয়ন না দেওয়ার সুপারিশ করেছিল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া দুলালী মিস্ত্রি, চামেলী মিস্ত্রি ও অসীমা রানী বলেন, আমরা চল্লিশ দিনের কর্মসূচির কাজ করেছিলাম। মাত্র ২হাজার ২‘শ ৫০ টাকা দিয়েছে। অবশিষ্ট টাকা চাইলে বলে কিসের টাকা। আর পাবিনা। যা দিয়েছি এই নিয়ে যা।প্রতিদিন দুই‘শ টাকা হাজিরা হিসেবে আমাদের ৮ হাজার টাকা দেওয়ার কথা ছিল। যেকোন মূল্যে আমরা অবশিষ্ট টাকা পেতে চাই।
চেয়ারম্যান আলী আক্কাস বুলু বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সম্পুর্ন মিথ্যা।আমি কোন প্রকার অনিয়ম করিনি।