স্টাফ রিপোটার,বাগেরহাট: দুর্ঘটনার একদিন পরেও মোংলা বন্দরের পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজটি এখনও উদ্ধার হয়নি। এ বিষয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ মুসা জানান জাহাজটি উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হবে। এজন্য বরিশাল থেকে একটি উদ্ধারকারী ক্রেন রওনা হয়েছে।
এদিকে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) মোংলার আহবায়ক নুর আলম শেখ বলেন, যেহেতু পশুর নদে কয়লাবাহী জাহাজ ডুবেছে, সেহেতু এর বিষাক্ত পদার্থ নদীতে ছড়িয়ে জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলবে। তিনি আরও বলেন, প্রতিবছরই এই পশুর নদীতে কয়লাম তেল ও সার নিয়ে জাহাজ ডুবছে এসব ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষের আরও সাবধান হওয়া উচিত।
ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজের মাস্টার ওসমান আলী জানান, শনিবার (২৮ র্ফেরুয়ারি) প্রায় সাতশ’ মে.টন কয়লা নিয়ে কার্গো জাহাজ এমভি বিবি-১১৪৮ তলা ফেটে ডুবে যায়। রাত ১১টার দিকে পশুর নদীর বানীশান্তা ও কানাইনগর এলাকায় পৌঁছালে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এ সময় জাহাজের মাস্টারসহ ১২ জন নাবিক সাঁতরে নদীর পাড়ে উঠতে সক্ষম হন।
বন্দরের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর অ্যাংকোরেজ থাকা বিদেশি জাহাজ এমভি জসকো থেকে কয়লা বোঝাই করে যশোরের নওয়াপাড়ার উদ্দেশে ছেড়ে আসে কার্গো জাহাজটি। এদিকে জাহাজটি উদ্ধার কাজ শুরু না হলেও ঘটনাস্থলে মার্কিংয়ের ব্যবস্থার কাজ শুরু করার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। তবে কার্গোটি পশুর নদীর মূল চ্যানেলের বাইরে ডুবেছে বলে নৌযান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে না বলে শনিবার জানিয়েছেন বন্দরের হারবার মাস্টার কমান্ডার ফখরউদ্দিন।