খবর ৭১: দীর্ঘ দিবস পর অবশেষে বাংলাদেশ এক্স ক্যাডেটস এসোসিয়েশনের (বেকা) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী গত ২৮ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে পালন হলো। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে বেকা’র ইতিহাসকে পূর্ণ জাগরিত করে ৩৯ বছরের সকল অর্জনকে উজ্জীবিত করে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের সাথে নিয়ে এই প্রথম বেকা তার ঐতিহ্যবাহী অবস্থানে ফিরে আসলো। আনুষ্ঠানিকভাবে কেন্দ্রীয় ভাবে রাওয়া ক্লাবে কেক কেটে উদ্ধোধন করলেন বেকা’র চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম শাহজাহান (অবঃ)। প্রতিষ্ঠাতা ৬ জন সদস্য এবং প্রতিষ্ঠা লগ্নের সদস্য ৪ জনকেও সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়। এই ঐতিহাসিক মহেন্দ্রক্ষনে জাতীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ছাড়াও বিভিন্ন বিএনসিসি’র ক্যাডেট এসোসিয়েশনের নেত্রীবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিরাও উপস্থিত ছিলেন। বৈশ্বিক করোনা মহামারি কারণে সরকারি নির্দেশনায় সীমিত আকারে এই অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয় ।
এই অনুষ্ঠানের আয়োজন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। সকল ইতিহাস পর্যালোচনা করে ও দলিলাদি প্রমাণাদি নিয়ে এই পরিষদ ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২ সনকে আনুষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠা দিন ঘোষনা করে। অনুষ্ঠানের শুরুতেই বিস্তারিত এই বিষয় নিয়ে আলোকপাত করেন বেকা’র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ মাহবুব আলম। মুজিব শতবর্ষের এই দিনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বেকা’র চীফ পেট্রোন সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ এম এরশাদ, বিএনসিসি’র ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব লেঃ কর্ণেল মতিউর রহমান (অবঃ)সহ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের আনুষ্ঠানিক পরিচয় করিয়ে দেয়া হয় । এই অনুষ্ঠানে বেকা ফেসবুক গ্রুপ এডমিন দক্ষিন আফ্রিকা প্রবাসী এক্স-সিইউও আব্দুর রহমান, এডমিন এক্স সিইউও পাভেল খান ও নির্বাহী সদস্য আব্দুল আলিম খান অর্থনৈতিক সহযোগিতা ছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আনোয়ারুল ইসলাম উত্তম সার্বিক সহযোগিতা করেন।
আবেগ আপ্লুত প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের বক্তব্য, স্মৃতিময় কথার মালায় জড়িয়ে যায় বেকা’র এই কেক কাটার আয়োজনটি। ২৬ বছর পর প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব বেকা’র ডাইসে দাঁড়িয়ে সম্মানের অশ্রু সকলকে উপহার দিয়ে গেলেন। বেকা এগিয়ে যাবে এই ৩৯ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই সকলের চাওয়া ছিল।
অনুষ্ঠান শেষে সকলকে নৈশ ভোজের আমন্ত্রণ জানায় বেকা’র মহাসচিব লেঃ কর্ণেল আলাউদ্দিন গাজী (অবঃ)।
সারাদেশে একযোগে সকল ইউনিট এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করে।