খবর ৭১: ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন।
চকবাজার থানার মাদক মামলায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত মোহাম্মদ ইরফান সেলিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন (ফাইনাল রিপোর্ট) গ্রহণ করে সোমবার (০১ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান এ আদেশ দেন। ইরফান সেলিমের আইনজীবী শ্রী প্রাণ নাথ এ তথ্য জানান।
গত ৪ জানুয়ারি মাদক ও অস্ত্র মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চকবাজার থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন ইরফান সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পায়নি মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করেন৷ তাই এ দু’টি মামলা থেকে তাকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।
এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা কেএম ইমরুল কায়েশ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে তাকে অস্ত্র মামলা থেকে অব্যাহতির আদেশ দেন। সোমবারের আদেশের মাধ্যমে তিনি অস্ত্র ও মাদক দু’টি মামলা থেকেই অব্যাহতি পেলেন।
এর আগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সাজাতেও তিনি জামিন পান। এখন শুধু নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের একটি মামলাই রইল ইরফানের বিরুদ্ধে৷ সেই মামলায় এরই মধ্যে অভিযোগপত্র আদালতে জমা পড়েছে।
গত বছর ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খান মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন। এ সময় ইরফান সেলিমের গাড়িটি তাকে ধাক্কা মারে। এরপর তিনি সড়কের পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়ান এবং নিজের পরিচয় দেন। তখন গাড়ি থেকে ইরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা একসঙ্গে নেমে তাকে কিল-ঘুষি মারেন এবং মেরে ফেলার হুমকি দেন। সেই সঙ্গে তার স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন।
এ ঘটনায় ২৬ অক্টোবর সকালে ইরফান সেলিম, তার বডিগার্ড মো. জাহিদুল মোল্লা, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত দুই-তিনজনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় মামলা করেন।
ওই দিনই পুরান ঢাকার বড় কাটরায় ইরফানের বাবা হাজী সেলিমের বাড়িতে দিনভর অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এ সময় র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত মাদক রাখার দায়ে ইরফান সেলিমকে এক বছর কারাদণ্ড দেন। এরফানের দেহরক্ষী মো. জাহিদকে ওয়াকিটকি বহন করার দায়ে ছয় মাসের সাজা দেন।
এরপর ২৮ অক্টোবর র্যাব-৩ এর ডিএডি কাইয়ুম ইসলাম চকবাজার থানায় ইরফান সেলিম ও দেহরক্ষী জাহিদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকের পৃথক চারটি মামলা করেন। জাহিদের দু’টি মামলাতেই অভিযোগপত্র দাখিল হয়েছে।
কলাবাগানে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সম্প্রতি ইরফান সেলিমসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে ডিবি পুলিশ।